শেখর চন্দ, আসানসোল: শহর জুড়ে শুরু হবে হকার উচ্ছেদ। সোমবার থেকে হবে উচ্ছেদ অভিযান। চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে আসানসোল পুরনিগমের এই ঘোষণায়। শহরকে আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে চাইছে আসানসোল পুরনিগম। তাই রাস্তার দু’পাশে যারা জবরদখল করে বসে দোকানপাট খুলেছেন তাদের অবিলম্বে সরিয়ে দিতে চাইছে আসানসোল পুর কর্তৃপক্ষ। আপাতত জিটি রোড এবং বড় রাস্তার পাশে যে সমস্ত দোকানগুলি বসেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাদ যাবে না শাসকের দলীয় অফিসও।
ইতিমধ্যেই আসানসোলের ভগৎ সিং মোড় থেকে বিএনআর পর্যন্ত জিটি রোডের দুধারে ফুটপাথ দখল করে যে দোকানগুলি বসে আছে তাদেরকে এবং আসানসোলের বার্নপুর রোডে যে সমস্ত জবরদখলকারীরা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে স্পষ্ট লেখা, তিনদিনের মধ্যে জায়গা খালি করে দিতে হবে, না হলে আসানসোল পুরনিগমের তরফে দোকানপাটগুলিকে উঠিয়ে জায়গা ফাঁকা করবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, তাঁরা অনেকদিন ধরে সেখানে ব্যবসা করছেন। এবং কেউ কেউ সেখানে ব্যবসার পাশাপাশি ওই দোকানগুলির মধ্যেই বসবাস করেন। ফলে তিনদিনের নোটিসে তাঁদের পক্ষে সরে যাওয়া অসম্ভব বিষয়। দোকানদার অনিমা তন্তুবায়, বাসু মণ্ডল, মুক্তা দেবীরা বলেন, পুনর্বাসন না দিয়ে এভাবে উঠিয়ে দিলে তারা কর্মহারা হবে। ফলে বিষয়টিকে মানবিকতার চোখে দেখার আরজি ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে, ভগত সিং মোড় থেকে বিএনআর যাওয়ার পথে জিটি রোডের ফুটপাথেই রয়েছে তৃণমূলের মাইনরিটি সেলের পার্টি অফিস। তার কী হবে? শুরু হয়েছে জল্পনা।
আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “জবরদখলকারীদের যেকোনও মূল্যে সরানো হবে। যারা রাস্তার উপর ফুটপাত দখল করে রয়েছে, তাঁদের সরিয়ে ফুটপাথ ফাঁকা করতে হবে। পার্টি অফিস থাকলে সেটাও সরবে।” আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ও কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বেশ কড়া মনোভাবই দেখিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “মানুষের অসুবিধা যেখানে হচ্ছে সে বিষয়টি আমাদের আগে দেখতে হবে। রাস্তার দুপাশে জবরদখলকারীদের জন্য রাস্তা দিন দিন সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। সে কারণে কোনওমতেই এই জবরদখল মেনে নেওয়া হবে না। তাদের উচ্ছেদ করতেই হবে। যে কোনও দলের পার্টি অফিস থাকলেও তা সরিয়ে ফেলা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.