শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের এজলাসে বসে অনুব্রত মণ্ডলকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে দিলেন না বিচারক। মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর বিচারক অন্যদিনের মতো চেয়ার ছেড়ে চেম্বারে গেলেন না। পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে চলে যেতে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বেরিয়ে যান। তারপরেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এদিন এজলাস ছেড়ে চেম্বারে যান।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫৭ মিনিট নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের এজলাসে ঢোকেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই সময় সিবিআইয়ের অন্য একটি মামলা বিচারক শুনছিলেন। অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) খেয়াল করেননি বিচারক আছেন। চেয়ারে বসেই তাঁর এক অনুগামী দীপককে নাম ধরে ডাকছিলেন। কাছে আসতে বলেছিলেন। বিচারক হতচকিত হয়ে যান। অনুব্রত মণ্ডলকে জানান, “আমি এখানে আছি।” অনুব্রত মণ্ডল ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, “সরি সরি দেখতে পাইনি স্যার।”
অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে অগণিত অনুগামী আদালতে আসেন। তাঁরা এজলাসে ঢুকে পড়েন। তবে এদিন আর সেই দৃশ্য দেখা গেল না। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির রাঁধুনি, গাড়িচালক এবং দু-একজন তৃণমূল কর্মী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মোট পাঁচ-ছ’জন অনুগামী সিবিআই আদালতে যান।
বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদন খারিজ হয় অনুব্রত মণ্ডলের। বৃহস্পতিবারও শূন্য হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। পরপর দু’দিনের ধাক্কায় মনমেজাজ ভাল না বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর এবং আদালতে ঢোকার আগে অনুব্রতর মুখেচোখে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তৃণমূল নেতা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, উচ্চ আদালতে যাবেন? প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন নিয়েও। অনুব্রত অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। কার্যত বিরক্তবোধ করেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.