Advertisement
Advertisement

বন্যা থেকে বাঁচতে অভিনব উদ্যোগ, জ্যাকের সাহায্যেই উঁচু হল দোতলা বাড়ি

বাড়ি উঁচু করতে কত খরচ পড়ছে জানেন?

Asansol: Building is uprising by engineers

ছবি: প্রতিবেদক

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 31, 2018 1:10 pm
  • Updated:August 31, 2018 1:10 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বাড়ি না ভেঙেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা শোনা ছিল৷ এবার তা চাক্ষুস করলেন আসানসোলবাসী৷ জ্যাকের সাহায্যে আস্ত দোতলা দালান বাড়িকে চারফুট উপরে তুলে দিলেন ইঞ্জিনিয়াররা৷ আসানসোলের ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড মহিশীলা কলোনির সানভিউ পার্কে এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ৷ পেশায় শিক্ষক বিকাশচন্দ্র সাধু বর্ষায় বন্যার হাত থেকে বাঁচতে এই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন৷ হরিয়ানা থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে এই কাজটি করছেন গত কয়েকদিন ধরে৷

২০০৩ সালে সানভিউ পার্কে বাড়ি তৈরি করেন বিকাশবাবু৷ পরবর্তীকালে পুরসভার তরফ থেকে এলাকার রাস্তাঘাট তৈরি হলে রাস্তা উঁচু হয়ে যায়৷ রাস্তার থেকে বাড়ির মেঝে নিচু হয়ে যাওয়ায় অল্প বর্ষাতেই বাড়িতে রাস্তা ও নর্দমার জল ঢুকতে থাকে৷ দু-তিন বছর ধরে এই সমস্যায় ভোগার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন বাড়িটিকে উঁচু করতে হবে৷ কিন্তু দোতলা বাড়িকে ভেঙে উঁচু করা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ ব্যাপার৷ বাড়িটি না ভেঙে নতুন করে বাড়ির উচ্চতা বাড়াবেন কী করে সেই নিয়ে অনলাইনে নানা উপায় সার্চ করতে থাকেন বিকাশবাবু৷ আর প্রযুক্তির যুগে অসম্ভব কিছুই নয়৷ প্রত্যাশামতোই এই কাজে বিশারদ ও অভিজ্ঞ হরিয়ানার একটি সংস্থার সন্ধান পেলেন তিনি৷ যোগাযোগও করে ফেলেন৷

Advertisement

[মা ও ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত, লকআপের বাইরে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে শিক্ষক]

গত ১৮ আগস্ট থেকে বাড়ি না ভেঙে ও বাড়ির কোনও ক্ষতি না করেই মেঝের উচ্চতা বাড়ানোর কাজ শুরু করে ওই সংস্থা৷ এমনকী কাজ শুরুর আগে তারা ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দিয়ে কোর্ট পেপারে চুক্তি করতে সম্মত হয়৷ বিকাশ সাধু উৎসাহিত হন৷ বৃহস্পতিবার দেখা যায় বাড়িটি একফুট উপরে উঠে গিয়েছে৷ সংস্থার ৩০ জন কর্মী ১৭০টি জ্যাকের সাহায্যে বাড়িটি তুলতে ফেলতে সক্ষম হন৷ এবার ধীরে ধীরে ৪ ফুট পর্যন্ত বাড়িটিকে উঁচু করা হবে৷ তারপর নতুন করে ভিত, দেওয়াল ও মেঝে তারাই তৈরি করে দেবেন৷ সংস্থার সুপারভাইজার কৃষ্ণমার বলেন, প্রতিদিন এক ফুট করে বাড়িটিকে মাটি থেকে তোলা হবে৷ সম্পূর্ণ ১৭৫০ স্কোয়ার ফুটের দ্বিতল বাড়িটির কাজ শেষ হবে ৪৫ দিনে৷

বাড়িটি শূন্যে ভেসে উঠতেই স্থানীয় লোকেদের মধ্যে উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে৷ এলাকায় ভিড় করতে থাকেন তাঁরা৷ কেউ কেউ ছবি তোলাও শুরু করেন৷ সংস্থার কর্মীরা জানান এর আগে এ রাজ্যে তাঁরা এরকম ২০টি বাড়িকে উঁচু করেছেন৷ তারমধ্যে কিছু চলমানও ছিল৷ অর্থাৎ ১৫ ফুট পর্যন্ত দূরে ঠেলেছেন বিল্ডিংকে৷ বাড়ির মালিক বিকাশ সাধু বলেন, ২০০৩ সালে বাড়ি যখন করেন তখন বসতবাড়ি কম ছিল৷ পরে এলাকাটি উন্নত হয়৷ পুরনিগম থেকে রাস্তাও তৈরি হয়৷ কিন্তু তারপরই শুরু হয় বিপত্তি৷ ঘরের মেঝে নিচু হয়ে যায় রাস্তা থেকে৷ ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাড়িতে জল ঢুকতে থাকে৷ দশ মিনিটের বৃষ্টিতে বাড়ির মেঝেতে ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত জল জমে যায়৷ বর্ষাকালে মনে হয় বন্যা হয়ে গিয়েছে৷ তখন পরিবারের সবাইকে দোতলায় থাকতে হয়৷ তাই অভিনব পদ্ধতিতে বাড়ি উঁচুর কাজটি তিনি করাচ্ছেন৷ বাড়ি উঁচু করতে মোট ৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে৷ আর ফিনিশ করতে ১০ লক্ষ টাকার বাজেট ছুঁয়ে যাবে বলে জানান রানিগঞ্জ শিয়ারশোলের মাস্টারমশাই বিকাশ সাধু৷

[দু’পায়ে শিকল পরে হাঁটছেন যুবক, অমানবিক ছবি কাঁথির রাস্তায়]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement