চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: প্রধানমন্ত্রীকে চোর অপবাদ দিয়ে ফের ফ্লেক্স লাগানো হল বাবুল সুপ্রিয়র বাড়ির সামনে। আর ফের সেই ফ্লেক্স ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন তিনি। “চৌকিদার চোর হ্যায়” এই ধরনের চারটে ফ্লেক্স আসানসোলের মহিশীলা কলোনির বটতলা বাজার এলাকায় বাবুলের বাড়ির সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তা দেখতে পেয়ে নিজেই বাঁশ দিয়ে সেই সমস্ত ফ্লেক্সগুলো ছিঁড়ে নামান বাবুল। তারপর সবগুলোকে একসঙ্গে ছিঁড়ে নামিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেন।
বাবুলের অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে এর আগেও এই ধরনের ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। সেবার তিনি ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূলকে কটাক্ষ করে পালটা ফ্লেক্সও লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেবার ছিল একটি ফ্লেক্স। কিন্তু, এবার চারটে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি ফ্লেক্সের নিচে মহিশীলা কলোনি তৃণমূল কংগ্রেস লেখা ছিল। বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে এই ধরনের ফ্লেক্স লাগানো মানে বিনা কারণে অশান্তি ডেকে আনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে আসছেন বিজেপির ছোট-বড় নেতা ও কর্মীরা। তাঁরা এটা দেখতে পেলে উত্তেজনা ছড়াবে। তখন অশান্তি হবে, মারমারি হবে। তাঁর আরও অভিযোগ, ভোটের আগে তৃণমূল অশান্তি পাকাবার জন্য এগুলি করছে। এই অশান্তি থেকে দূরে থাকার জন্য তৃণমূলকে হুঁশিয়ারিও দেন বাবুল।
অন্যদিকে মঙ্গলবারই জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকার ইমলিধাওড়ায় বাবুলের প্রচার গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ‘এই তৃণমূল আর না’ গানটিকে কেন্দ্র করেই বচসা হয় বলে জানা গিয়েছে। গানটি বন্ধ করার জন্য কয়েকজন প্রচার মিছিলে ঢুকে যায়। ফলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। শেষপর্যন্ত অবশ্য বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, এই প্রথম নয়, বারবার তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না জেনেই এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন আসানসোলের সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন সিপিএম কর্মীও। বিকেলে এই খবর পেয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যের খাতিরে আসানসোল হাসপাতালে সিপিএম প্রার্থীকে দেখতে যান বাবুল। কিন্তু, তিনি যখন হাসপাতাল পৌঁছান, তখন আহত সিপিএম প্রার্থীকে সিটি স্ক্যান করতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই তিনি বাইরে চায়ের দোকানে আধ ঘণ্টা অপেক্ষাও করেন। পরে গৌরাঙ্গবাবুকে হাসপাতালে আনার পর তিনি রক্ষী ও কর্মীদের ছাড়াই ভিতরে যান। তবে সিসিইউে ভরতি থাকায় তিনি জানালা দিয়েই দেখে ফিরে আসেন। পরে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বাবুল বলেন, রাজনীতি নয়, মানবিকতার খাতিরে তিনি তাঁর খোঁজখবর নিতে এসেছেন। এমনকী হাসপাতালে ঢুকেছিলেন গেরুয়া উত্তরীয় ছাড়াই। তবে সিসিইউ ইউনিটে বহু রোগী রয়েছেন। তাই তাঁদের অসুবিধার কথা ভেবে ভিতরে যাননি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.