অভিষেক চৌধুরী, কালনা: রাখি মানেই কালনা (Kalna)। এখানকার রাখি শুধু এ রাজ্যেই নয়, ভিন রাজ্যে, এমনকী বিদেশেও পাড়ি দেয়। তাই কালনার রাখি শিল্প ক্রমশ হয়ে উঠেছে বাংলার গর্ব। আর এবছরের রাখি বন্ধন উৎসবের আগে রাজ্যের সংস্কৃতি দিবস পালনে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার সরকারি প্রকল্পের ‘জয় বাংলা’ রাখির বরাত পেল কালনার একটি সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাখি শিল্পীরা। দিনরাত এক করে রাখী তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
কালনার শিল্পীদের তৈরী লক্ষ-লক্ষ রাখি (Rakhi) পাড়ি দেয় সর্বত্র।আর এমনই এক শিল্পের সৌজন্যে কালনায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের রাখি তৈরীর কারখানা। কারিগর হিসাবে পুরুষরা থাকলেও এই শিল্পের মূল কারিগর মহিলারা। বাড়ির কাজ সামলানোর পাশাপাশি তারা এই রাখিশিল্পের কাজ করে মাসে হাজার হাজার টাকা রোজগারও করে থাকেন। কালনা মহকুমা এলাকায় থাকা রাখি তৈরীর কারখানাগুলির সঙ্গে বেশ কয়েক হাজার দক্ষ ও অদক্ষ শিল্পীরাও যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা নিখুঁতভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কারুকার্য দিয়ে এই রাখি তৈরি করেন।
শুধু তাই নয়,রাখি শিল্পীদের আরও দক্ষ করে তুলতে ‘উৎকর্ষ বাংলা’র উদ্যোগে ও কালনা উইভার্স এণ্ড আর্টিজেন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় রাখি তৈরির প্রশিক্ষণ শিবিরও করা হয়। কালনার শ্যামগঞ্জপাড়ার এই কর্মশালায় প্রশিক্ষিতদের হাতে তৈরি হয় রাজ্য সরকারের “জয় বাংলা”র কয়েক লক্ষ রাখি। এবারও রাজ্য সরকারের “জয় বাংলা” (Joy Bangla) লেখা রাখির বরাত পেয়েছেন বলে জানান সংস্থার সম্পাদক তপন মোদক। এছাড়াও খাদি দফতরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক হাজার রাখির বরাত পেয়েছেন বলে তিনি জানান।
তপনবাবু বলেন,“এইবারও রাজ্য সরকারের যুবকল্যাণ দপ্তরের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার জয় বাংলা লেখা রাখি ও খাদি দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় দু’হাজার রাখির বরাত মিলেছে।” তিনি আরও জানান,“অদক্ষ শিল্পীদের আরও দক্ষ করে তুলতে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর তাঁদের শিল্পনৈপুণ্যেই রাখি তৈরি করা হয়।এবারেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাখী তৈরীর বরাত মেলায় আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।” আগামী ৩০ আগস্ট রাখিবন্ধন উৎসব। তার আগে সমস্ত সরবরাহ করার চাপ মাথায় নিয়ে কাজ করছেন সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.