Advertisement
Advertisement
বাবুল

দেওয়ালে বাবুল সুপ্রিয়র মুখ, আসানসোলের সিধাবাড়িতে জমজমাট প্রচার

বাবুল সুপ্রিয়র ছবি আঁকছেন দলের কর্মী ইন্দ্রজিৎ পাল৷

Artist paints Babul Suriyo's face on Asansol wall for LS Polls
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 27, 2019 2:07 pm
  • Updated:April 17, 2019 6:05 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এ গ্রামে প্রচারের মুখ তিনিই। তাই আদর্শগ্রাম সিধাবাড়িতে দেখা মিলল ভিন্ন ধরণের দেওয়াল লিখন। দলীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র নাম ও প্রতীক পদ্মফুল আঁকা থাকতেও বাবুলের ছবি আঁকা হয়েছে দেওয়ালে দেওয়ালে। চোখে গোল ফ্রেমের চশমা, গালে হালকা দাড়ি লুকে ছবি দেখলেই চেনা যাচ্ছে বাবুলকে। বাবুল সুপ্রিয়র দাবি, তিনি কাজ করেছেন তাই মানুষের ভালোবাসার ফল দেওয়ালে দেওয়ালে আজ তাঁর ছবি।

ভোটের প্রচারে প্রতীক ও প্রার্থীর নাম সব জায়গায় দেখা যায়। হোর্ডিং ব্যানারে দলীয় নেতৃত্বের মুখ ব্যবহার হয়। দক্ষিণ ভারতে এই ধরণের চিত্র ব্যবহার দেখা গেলেও দেওয়ালে দেওয়ালে হাতে আঁকা প্রার্থীর ছবি হয়তো বাংলাতেও খুব বেশি চল নেই। সেক্ষেত্রে আসানসোল কেন্দ্র হয়তো পায়নিয়র হয়ে থাকল। বিজেপি কর্মীরা জানান এবার তো ইভিএমে প্রার্থীর ছবি থাকবে তাই বাবুল সুপ্রিয়র মুখ অবয়বের ছবিটি ভোটারদের আগে থেকে চিনিয়ে দেওয়ারও একটা কৌশল।

Advertisement

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সর্বত্র বাবুল সুপ্রিয়র নামে দেওয়াল লিখন হয়েছে। এমনকী জামুড়িয়া রানিগঞ্জে প্রার্থী ঘোষণার আগেও বাবুলের নামে দেওয়াল লিখন হয়েছে। সালানপুরের সিধাবড়ি গ্রাম প্রথম বাবুল সুপ্রিয়র মুখের ছবি আঁকা শুরু করেছে এবার। জানা গিয়েছে, শুধু সিধাবাড়ি নয়, কুলটি সালানপুর সীমানা এলাকাতেও এই চিত্র দেখা মিলছে। সিধাবাড়ির দায়িত্ব থাকা বিজেপি কর্মী তীর্থ সেন বলেন, ‘গ্রামের ছেলেরা প্র্যক্টিস করে এই ছবিগুলি এঁকেছেন। যাঁরা এঁকেছেন তাঁরা বাবুল সুপ্রিয়র ফ্যান।’ জানা গিয়েছে, রামনগর কোলিয়ারি এলাকাতেও ব্যবহার হয়েছে বাবুলের মুখের ছবি। সেখানকার ছবিগুলি আঁকিয়েছেন পার্টিকর্মী ইন্দ্রজিৎ পাল।

আরও পড়ুন: ভগ্ন সংগঠনেও চমক কংগ্রেসের, দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী লন্ডন ফেরত ব্যবসায়ী ]

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে আদর্শগ্রাম তৈরি করার জন্য বিদায়ী সাংসদ তথা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দত্তক নিয়েছিলেন সালানপুরের সিধাবাড়ি গ্রামকে। বাবুল জানান, মাইথন জলাধারের পাশে ছোট্ট গ্রামকে সাজিয়ে তুলতে রাস্তাঘাট আলোর ব্যবস্থা করেছেন। কর্মসংস্থানের জন্য কখনও ফিশারি প্রোজেক্টে মাছ চাষের ট্রেনিং বা মাছ বিলি করেছেন। গ্রামের মানুষদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করিয়ে দেওয়ার কাজ করিয়েছেন তিনি। মোট ১ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যায় করে পাকা রাস্তাও তিনি করিয়েছেন।

বাবুল বলেন, উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি না করে রাজ্য প্রশাসন যদি তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করতেন তবে আজ এই গ্রামে পাঁচগুণ কাজ বেশি হত। তিনি বলেন, তিনটি ১৪ লাখ টাকা ব্যায় করে গভীর নলকূপ থেকে পানীয় জল প্রকল্পে বানিয়ে দিয়েছেন। গ্রামে সোলার হাইমাস্ক আলো ও স্ট্রিট আলো লাগিয়েছেন প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যায় করে। সিধাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো সংস্কার করতে দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা করে। এছাড়াও সারাবছর গ্রামের মানুষদের স্কীল ডেভলপ করার জন্য ফিশারি, জুট, মৃৎশিল্পের ওপর ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেছেন। সাড়ে ১২ লাখ টাকা ব্যায় করে ৬৬ টি ইলেকট্রিক মোটরাইজ মেশিন দেওয়া হয়েছে।

                                 [ আরও পড়ুন: পোড়খাওয়া মুখ নেই! বহরমপুরে দিলীপ ঘোষের পুরোহিতকেই প্রার্থী করল বিজেপি ]

উল্লেখ্য ভোট ঘোষণার আগের দিন বাবুল সুপ্রিয় গিয়েছিলেন তাঁর দত্তক নেওয়া সিধাবাড়ি গ্রামে। সেখানে গিয়ে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ গাও গেয়েছিলেন “অনেক চেনা, অনেক জানা, তোমাদের পাশেতেই-হয়তো আমাকে কারও মনে নেই আমি যে ছিলাম এই গ্রামেতেই”। সেই সিধাবাড়ি গ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে বাবুল তাঁর ছবি দেখার পর বলেছেন মন থেকে ও মন দিয়ে কাজ করেছি তাই গ্রামবাসীরাও এত ভালোবাসা দেয়। এঁদের কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement