Advertisement
Advertisement

Breaking News

অর্পিতা ঘোষ

হারের দায় জেলা সভাপতির দিকে ঠেলে দিলেন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা

দল পর্যালোচনা করলেই হারের প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে, প্রতিক্রিয়া পরাজিত প্রার্থীর৷

Arpita Ghosh blames district president for poll debacle

ছবি: ফাইল

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 23, 2019 10:16 pm
  • Updated:May 23, 2019 10:16 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: গোষ্ঠী সমস্যা এবং তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের ভাবমূর্তির জেরে পালটে গেল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের চিত্রটা। হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়জয়কার হল বিজেপির। তবে এই হারের নেপথ্যে নাম না করে, জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে দায়ী করেছেন অর্পিতা। 

জানা গিয়েছে, তৃণমূলের থেকে এবার প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ভোটে বালুরঘাট লোকসভায় এগিয়ে বিজেপি। ২০১৪ সালে এখানে তৃণমূল প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৪১টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামেরা পেয়েছিল ৩ লক্ষ ২ হাজার ৬৭৭টি ভোট। সেবার তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি ভোট পায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার ১৪টি এবং চতুর্থ স্থানে থাকা কংগ্রেসের ভোট ছিল ৮০ হাজার ৭১৫টি। এবার তৃণমূল প্রায় সওয়া চার লক্ষ ভোট পেয়ে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছিল। কিন্তু গতবারে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামেদের সেই ভোট ব্যাংক এক লক্ষের কোটা পূরণে ব্যর্থ। সেই জায়গায় বিজেপির ভোট বেড়ে এবার  প্রায় সাড়ে চার লক্ষর উপড়ে গিয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে বীরভূমের মাটি ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন শতাব্দী ]

স্বাভাবিকভাবেই এই আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু এই হার নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ বিশ্লেষণ শুরু করেছে। কেননা, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর ও তপন বিধানসভা এলাকাগুলি থেকে ভোট পেয়েছেন অনেক কম। ইটাহার, হরিরামপুর এবং কুমারগঞ্জ থেকে তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বালুরঘাটে প্রায় ৩৮ হাজার ও গঙ্গারামপুরে ২২ হাজার ভোট কম পেয়েছেন তিনি। দলের জেলা সভাপতির এলাকা থেকে যে তিনি এগিয়ে থাকতে পারেননি, তা নিয়ে আক্ষেপ দেখা গেছে অর্পিতার। গণনাকেন্দ্র থেকেই সে নিয়ে তাঁকে বারবার ফোন করতে দেখা যায় বিপ্লব মিত্রকে। কীভাবে ওই এলাকা থেকে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার কমে গেল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অর্পিতা ঘোষ জানান, বালুরঘাটে পিছিয়ে থাকার একটা আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু এতটা কম ভোট পাবেন, তা কখনোই হিসেবের মধ্যে ছিল না। গঙ্গারামপুর থেকে গতবার ২০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এবার সেখানে ২২ হাজারের বেশি ভোট তিনি কম পেয়েছেন। অর্পিতা আরও বলেন, প্রথম দিকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে গঙ্গারামপুর থেকে তাঁর বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেটা একটা প্রভাব ফেলেছে। অর্পিতা ঘোষ আরও বলেন, তাঁর এই হার দল বিশ্লেষণ করবে। কী কারণে এমনটা হয়েছে, তা বেরিয়ে আসবে।

এদিকে বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, তাঁর এই জয় নিশ্চিত ছিল। তবে আরও বেশি ভোটে জিতবেন বলে আশা করেছিলেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কি তাঁকে জিতিয়ে দিল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিনা, সেটা তাদের ব্যাপার।তবে মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই, এটা পঞ্চায়েত ভোটের পরই তা বোঝা গিয়েছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের৷ 

[ আরও পড়ুন: কঠোর পরিশ্রমের ফল পেলেন মহুয়া, কঠিন ম্যাচে হার কল্যাণ চৌবের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement