সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা ও কেরলের হিন্দু পরিবারের ১৮ ঊর্ধ্ব তরুণ-তরুণীদের সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক। এই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra চিঠি দিলেন খড়গপুরের বিধায়ক-অভিনেতা হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কেন এমন দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক?
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা দু’পাতার চিঠিতে হিরণ জানিয়েছেন,”সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কেরল এবং বাংলার বিশেষত হিন্দু পরিবারগুলির উপর সাম্প্রদায়িক অত্যাচার এবং জেহাদি হামলা ঠেকাতে এই পদক্ষেপ করা দরকার।” সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাঁর এহেন চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চিঠিতে শহিদ জওয়ানদের পরিবারগুলিকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়ারও আরজি জানিয়েছেন তিনি। হিরণের কথায়, সীমান্ত সংঘর্ষ এবং জঙ্গি মোকাবিলায় শহিদ জওয়ানদের পরিবারগুলিকে ‘তেরঙ্গা পরিবারের’ মর্যাদা দেওয়া হোক। এলাকার এই পরিবারগুলিকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন হিরণ।
চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ১৫ আগস্ট কিংবা ২৬ জানুয়ারি এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য শহিদ জওয়ানদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এই পরিবারের সদস্যরাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। ওই বিশেষ দিনগুলিতে সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁদের আমন্ত্রণ করতে হবে। শহিদ জওয়ানদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠা্ন এবং হাসপাতালের সুপারিশ করেছেন হিরণ। রেলস্টেশন-রাস্তা-সরকারি দপ্তরের সামনে সংশ্লিষ্ট এলাকার শহিদ জওয়ানদের নামের ফলক বসানোর সুপারিশও করা হয়েছে। চিঠিতে শহিদ জওয়ানদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের কথাও বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল হিরণের। ক্রমশ বেড়েছে সেই দূরত্ব। বর্তমানে কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ দিলীপ-হিরণের। দলের অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায় না বহুদিন হল। বর্তমানে দলের কোনও অনুষ্ঠানেই দেখা যায় না হিরণকে। যা স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছিল দলত্যাগের বিতর্ক। কিন্তু এদিনের চিঠি সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.