আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: প্রথম বিবাহবার্ষিকীর আগের দিনেই স্ত্রীকে খুন করল এক সেনা জওয়ান৷ এরপর আইনের সুযোগ নিয়ে গ্রেপ্তারি এড়াতে ভরতি হয়ে গেল সেনা হাসপাতালে৷ আর এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়াল খড়দহে৷ অভিযুক্ত জওয়ানের নাম স্বপন দাস৷ মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের পরিবারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তবে এখনও অধরা রয়েছে মূল অভিযুক্ত স্বপন৷
[গোয়ালঘরে ‘অনুপ্রবেশ’, গরুর লাথি খেয়ে বেহুঁশ শিয়াল ]
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে প্রথমে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত জেনা জাওয়ান। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে৷ এরপর অসুস্থতার ছল করে নিজে ভরতি হয়ে যায় সেনা হাসপাতালে৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল খড়দহের দক্ষিণপল্লির বাসিন্দা শ্বেতা দাস ও পাশের পাড়ার বাসিন্দা পেশায় সেনা জওয়ান স্বপন। বিয়ের পর কর্মসূত্রে জম্মু-কাশ্মীরে চলে যায় সে। সোমবার ছিল তাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু তার আগেই স্ত্রী শ্বেতাকে খুন করে স্বপন। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে, শনিবার রাত দশটা নাগাদ একটি টোটোতে করে শ্বেতার নিথর দেহ নিয়ে সাগরদত্ত হাসপাতালে যায় স্বপন৷ সেখানে শ্বেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ এরপর শ্বেতার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে, তাঁর বাপের বাড়ির লোকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে স্বপন৷ কিন্তু সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে যান তাঁরা৷
[কোচবিহারে পাঁচ কুকুরছানার মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিতর্ক তুঙ্গে]
মৃতার দিদি শ্রাবণী সরকারের অভিযোগ, “আমার বোনের সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিভিন্ন জায়গায় কালশিটে পড়ে গিয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাকে কীভাবে মারধর করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, পরিবারের লোক শ্বেতার মৃত্যুর খবর জানতেই হইহই পড়ে যায়৷ এর পরই নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করে স্বপন এবং বারাকপুর সেনা হাসপাতালে ভরতি হয়ে যায়৷ স্বপন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খড়দহ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে শ্বেতার পরিবার৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ স্বপন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের মোটিভ সম্পর্কেও এখন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.