Advertisement
Advertisement

ভোটের মুখে হাবড়ায় অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ, গ্রেপ্তার ১

মুঙ্গের থেকে বন্দুক এনে রাজ্যে অস্ত্র কারবার চালাচ্ছিল ধৃত।

Arms factory recovered in Habra
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 20, 2019 8:42 am
  • Updated:March 20, 2019 8:46 am  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: ওয়ান শটার নইন এমএম তো ছিলই। সেই বেআইনি অস্ত্রের তালিকায় নতুন সংযোজন সেভেন এমএম পিস্তল। মুঙ্গেরে তৈরি সেই বন্দুক অস্ত্র কারবারিদের হাত ধরে ঢুকছিল এ রাজ্যে। ভোটের মুখে তেমনই এক আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারি ধরা পড়ল হাবড়া থানার পুলিশের জালে। ধৃতের কাছ থেকে একটি সেভেন এমএম পিস্তল ও দু’টি ম্যাগজিন ও দশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে তারা। ধৃতকে আদালতে পেশ করে সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।

[তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দিতে পারলে মিলবে পুরস্কার, ঘোষণা আসানসোলের মেয়রের]

বিহারের মুঙ্গেরে তৈরি এই সেভেন এমএম পিস্তল গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্যের পুলিশের কপালে ভাঁজ ফেলছিল। ভোটের আগে বিহার থেকে এ ধরনের পিস্তল রাজ্যে ঢুকছে বলে খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। কারবারিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। রবিবার রাতে অবশেষে সাফল্য মিলল। হাবড়া এলাকা থেকে এই চক্রের এক পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম তপন সাহা (৫০)। হাবড়ার মনসাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে তপনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। হাবড়া থানার টহলদারি ভ্যানের নজরে আসে। চুপিসাড়ে তপনের পিছু নেয় তারা। এরপর হাতে নাতে তাকে অস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তপনের কাছ থেকে একটি বেআইনি সেভেন এমএম পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া তার কাছে দু’টি ম্যাগজিন ও দশ রাউন্ড গুলিও ছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করে তপনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

[ঘরের প্রার্থী না হলে ‘অন্য ফুলে’ ভোট দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের]

ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সে অস্ত্রের কারবার করে। মুঙ্গের থেকে বন্দুক এনে রাজ্যে এই কারবার চালাচ্ছিল সে। তপনের কাছ থেকে যে পিস্তলটি উদ্ধার হয়েছে, সেটিও মুঙ্গেরে তৈরি। পুলিশের ধারণা তপনের ডেরায় এরকম আরও অস্ত্র পাওয়া যেতে পারে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ডেরার হদিশ পায়নি পুলিশ। এমনকী তার বাকি সাগরেদদের নামও জানায়নি তপন। পুলিশ ধৃতকে মঙ্গলবার বারাসত আদালতে পেশ করে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। পুলিশের ধারণা, ধৃতকে জেরা করে এই চক্রে বাকিদের হদিশ মিলতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement