নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: চায়ের দোকানের আড়ালে বেআইনি অস্ত্র কারবারের হদিশ। আগরপাড়ায় পর এবার অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল উত্তর ২৪ পরগনারই বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় একটি চায়ের দোকানের আড়ালে অস্ত্রের কারবার চালানো হচ্ছিল। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সেভেন এম এম পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি। পুলিশের জালে ২ অভিযুক্ত। বিষয়টি জানতে পেরে দোকানে হানা দেয় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বনগাঁর ফুলতলি এলাকায় জড়ো হয়েছিল কয়েকজন ব্যক্তি। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ২ জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের নাম তাপস খাঁ ও বিজয় বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, তাপস খাঁ নাম ওই ব্যক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধী। এলাকায় ল্যাংড়া মামা নামেই পরিচিত সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে একটি চায়ের দোকান রয়েছে ল্যাংড়া মামার। তার বাড়িতে হানা দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চায়ের দোকান থেকেই অস্ত্র বিক্রি করত ল্যাংড়া মামা। ক্রেতা সেজে দোকানে আসত দুষ্কৃতীদের। সেখানে কথাবার্তা হয়ে যাওয়ার পর বাইরে থেকে অস্ত্র এনে সময়মতো নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হত অস্ত্র, মিলত টাকা। এরপরই ধৃত ল্যাংরা মামুর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সেভেন এম এম পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি। শুধু অস্ত্র বিক্রিই নয়, আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল ল্যাংড়া মামা। জানা গিয়েছে, মোটা টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি করত সে। যা কিনতে তার দোকানে ভিড় জমায় অনেকেই। গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের সন্ধান পেতে অভিযুক্তদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, কয়েকমাস আগে বনগাঁ থানা এলাকা থেকে অস্ত্র-সহ জামাল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেই সময় জিজ্ঞাসাবাদের পর ল্যাংড়া মামার কথা জানিয়েছিল সে। এছাড়াও বাংলাদেশে অস্ত্র সরবরাহের ঘটনার তদন্তেও উঠে এসেছিল তাপস খাঁ ওরফে ল্যাংড়া মামার নাম। অস্ত্র কারবারে জড়িত অন্যান্যদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.