Advertisement
Advertisement

Breaking News

Arms

বেতন না পেয়েই অস্ত্র কেনাবেচার পথ বেছে নেওয়া! STF’এর জালে ধরা পড়ে সাফাই কুরবানের

অস্ত্রসমেত এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে মন্তেশ্বরের কুরবান আলি-সহ ২।

Arms dealer Kurban Ali Shekh reveals why he ventured in this arena | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 19, 2022 12:37 pm
  • Updated:November 19, 2022 12:41 pm  

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কলকাতার বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। কিন্তু মাসের পর মাস ধরে বেতন অমিল। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে অস্ত্র কেনাবেচার (Arms deal) পথ বেছে নিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের STF-এর জালে ধরা পড়ে এমনই সাফাই দিল মন্তেশ্বরের (Manteswar) দুষ্কৃতী কুরবান আলি। তবে তার এসব দাবি মোটেই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছেন না তদন্তকারীরা। শুক্রবার রাতে বন্দুক বিক্রির সময় এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছে কুরবান। এদিন তাকে আদালতে তোলার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের অসহায়তার কথা বলে সে।

কুরবান আলি শেখ। মন্তেশ্বরের ভান্ডারবাটির বাসিন্দা রাজারহাটের এক বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর (Security Guard) কাজ করত কুরবান। চার, পাঁচ মাস ধরে সেখানে বেতন পায়নি। সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে উঠছিল। সেই কারণেই অস্ত্র কেনাবেচার কারবার শুরু করার পরিকল্পনা। প্রিজন ভ্যানে বসে এসবই বলছিল ধৃত কুরবান। শুক্রবার ডোমকলের (Domkal) বাসিন্দা রাকেশ মোল্লার কাছে বন্দুক বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। সেই বন্দুকটি কোথা থেকে পেল, সে বিষয়ে তদন্তকারীরা জানতে চান। তাতে কুরবান বিস্ময়কর তথ্য জানায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে মোদির আমন্ত্রণে বৈঠকে মমতা, রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা]

ওই বন্দুকটি সে কিনেছিল বিহারের (Bihar)এক বাসিন্দার থেকে। তাও মাত্র ২৭,২৮ দিন আগে। তারপর তা ডোমকলের বাসিন্দা রাকেশ মোল্লার কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। এভাবেই অস্ত্র ব্যবসা করতে নেমেছিল সে। কুরবানের দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য লাইসেন্স ছিল তার। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওটি বেআইনি অস্ত্র। যে কুরবানের থেকে বন্দুক কেনার কথা বলেছিল, সেই রাকেশ সম্পর্কে অবশ্য এখনও তেমন কোনও তথ্য জানা যায়নি।

[আরও পড়ুন: ‘দেওয়াল বেয়ে’ চারতলায় চুরি! গ্রেপ্তার ‘স্পাইডারম‌্যান’, টাকা, মোবাইল উদ্ধার কলকাতা পুলিশের]

এসটিএফের তদন্তকারীরা অবশ্য কুরবানের কোনও কথাই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছেন না। তাঁদের পালটা দাবি, বড়সড় দুষ্কর্মের দায় এড়াতে জীবিকার কারণে অসহায়তার কথা বলছে সে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কুরবানের সম্পত্তির পরিমাণ নেহাৎ কম নয়। কীভাবে সে সামান্য নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করে এত সম্পত্তি করেছিল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আর সেখানেই নিজের সম্পর্কে তার বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির ফারাক হয়ে যাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement