শুভময় মণ্ডল: নির্বাচনের আগে বারাকপুর-ভাটপাড়া অঞ্চলে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, ফলাফল ঘোষণার পরও তা অব্যাহত রয়েছে৷ শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ এতটাই চরমে উঠেছে যে, রাতের ঘুম উড়েছে প্রশাসনের৷ এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও৷ যেখানে বারাকপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখা যাচ্ছে দলীয় কর্মীদের বিস্ফোরক নির্দেশ দিতে৷ ভিডিওতে ভাটপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যো জাহা মিলে উড়া দো’! যদিও ভিডিওটির স্থান-কাল যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন৷ ফলে এই ভিডিওটির দায় সংবাদ প্রতিদিনের নয়৷ তবে ভিডিওটিকে হাতিয়ার করে অর্জুনের বিরুদ্ধে অশান্তিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ সরব বিরোধীদের একাংশ৷
[ আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফল না হওয়ার জেদ, উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায় ২ সহপাঠী ]
অন্যদিকে সোমবারই নবান্ন গিয়েছে ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মীদের ৫০০টি ঘরছাড়া পরিবার৷ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে নবান্নে গিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা৷ সূত্রের খবর, নবান্নে ডিজির সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা৷ অভিযোগ করেছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে৷ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে তাঁরা ঘরছাড়া হয়েছেন বলেই সংবাদমাধ্যমের সামনেও দাবি করেছেন ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীরা৷ এবং তাঁদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ শীর্ষমহল থেকে বারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত নৈহাটি-ভাটপাড়া-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে দুষ্কৃতীরা আত্মগোপন করে রয়েছে, তাদের পাকড়াও করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ দ্রুত এলাকায় মজুত অস্ত্র উদ্ধার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
[ আরও পড়ুন: তীব্র দহনে নাস্তানাবুদ, সুস্থ রাখতে চিড়িয়াখানার সদস্যদের বিশেষ ডায়েট চার্ট]
উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই উত্তপ্ত ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার মতো এলাকা৷ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল৷ বারাকপুরে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ এবং ভাটাপড়া উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে যা আরও তুঙ্গে ওঠে৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিংয়ের বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের৷ এলাকার নামে ব়্যাফ, বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ জারি হয় ১৪৪ ধারা৷ এমনকী, ভোট মিটে যাওয়ার পরেও সেই সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে৷ কাঁকিনাড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল৷ এলাকায় হয় ব্যাপক বোমাবাজি, চলে গুলি৷ ফলাফল ঘোষণার পরেও সেই উত্তেজনা জারি রয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.