ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: লকডাউনের ফলে বিভিন্ন জায়গায় অভাবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন রাজনীতিবিদরা। নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়করা নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রের বাসিন্দাদের সাহায্যে এগিয়ে আসছেন। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযোগ উঠছে, মানুষ রেশনে খাদ্যসামগ্রী ঠিকঠাক পাচ্ছেন না। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের নেতা-নেত্রীরা রেশনের খাদ্যসামগ্রী চুরি করছেন। বৃহস্পতিবার তেমনই অভিযোগ পেয়ে আমডাঙায় যাওয়ার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন সাংসদ অর্জুন সিং। পুলিশ তাঁকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর।
অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, রেশন লুট হচ্ছিল আমডাঙায়। দলীয় কর্মীদের মারফত তিনি এই খবর পান। সেইমতো বৃহস্পতিবার সকালে আমডাঙায় যাচ্ছিলেন তিনি। সেইসময় রাস্তায় তাঁকে আটকে দেয় পুলিশের গাড়ি। পুলিশের দাবি, লকডাউন উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এলাকায় ঢুকছিলেন সাংসদ। যদিও অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পুলিশ কেন তাঁকে আটকাল তা জানাতে পারেনি। তিনি বলেছেন, ‘লকডাউনের পর থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভাবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সরকারি রেশন তৃণমূলের নেতারা নিজেরা দখল করে নিতে চাইছেন, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী এ কথা স্বীকার করেছেন। আমডাঙা থেকেও রেশন চুরির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই খবর শুনে আমি আমডাঙায় যেতে গেলে পুলিশ আমায় রাস্তায় আটকে দেয়। কেন আটকে দেওয়া হল তার জবাব পুলিশ দিতে পারেনি। ভোটে হেরে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি পুলিশকে দিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছেন।’
রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সাংসদের। পুলিশ তাঁকে কেন আটকাল সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের। তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকার দুস্থ মানুষদের খাদ্যসামগ্রী বিলি করারও কর্মসূচি ছিল তাঁর। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা যখন ত্রাণ বিলি করছেন তখন পুলিশ আটকাচ্ছে না। কিন্তু বিজেপির নেতারা করতে গেলেই লকডাউনের নিয়ম ভাঙার আইন দেখানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.