রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চুপিচুপি ‘ঘর ওয়াপসি’ অর্জুন সিংয়ের। মাঝরাতে কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে ভারচুয়ালি দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেখানেই ‘দলবদলু’ অর্জুন ফের একবার দলবদল করলেন। সূত্রের খবর, বারাকপুরের সাংসদকে দলে নিতে ঘোর আপত্তি ছিল সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর অনুগামীদের। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ‘জেদে’র সামনে সেই আপত্তি ধোপে টিকল না। তবে অর্জুনকে নিয়ে দলের অন্দরেই চোরা অস্বস্তি রয়েছে। আর তাই চুপিচুপি রাতের আধারে ‘তৃণমূলী’ অর্জুনকে দলে ফেরাল বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব।
উনিশের লোকসভা ভোটের আগের চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল চব্বিশের ভোটের আগে। উনিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে শিবির বদল করেছিলেন ভাটপাড়ার ‘বাহুবলী’ অর্জুন। বিজেপির টিকিটে জিতেও আসেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটে তাঁর খাসতালুক নৈহাটি, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারেননি। উলটে বোমাবাজি, তোলাবাজি, গুন্ডামির মতো অভিযোগ আসছিল অর্জুনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন অর্জুন সিং। কিন্তু শাসক দলের সঙ্গে তাঁর সুর মিলছিল না। বার বার তাল কাটছিল। এর মধ্যে লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও অর্জুন সিংয়ের দ্বন্দ্ব। সূত্রের খবর, দ্বন্দ্বের জেরেই লোকসভার টিকিট কাটা যায় অর্জুনের। তার পর থেকেই ফের পদ্মে আশ্রয় খুঁজছিলেন তিনি।
অর্জুনকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরেই দ্বন্দ্ব ছিল। সূত্রের খবর, বারাকপুরের ‘দলবদলু’ সাংসদে দলে নিয়ে লোকসভার টিকিট দিতে আগ্রহী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু বেঁকে বসেন সুকান্ত ও দিলীপ ঘোষের ‘লবি’। ভোটে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয় তারা। কিন্তু তাতে কাজ হল না। শেষপর্যন্ত শুভেন্দুর জোরাজুরিতে রাতের অন্ধকারে ঢাকঢোল না পিটিয়ে অর্জুনকে দলে নিল বিজেপি। বারাকপুরের টিকিটও দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.