দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভোট প্রচারে গিয়ে ভাঙড়ের জমি আন্দোলন কমিটির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। এ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল ওই কমিটির সদস্যদের মধ্যে৷ অভিযোগ, ওই ক্ষোভ থেকেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁরা৷যদিও তৃণমূলের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ভাঙড়ের জমি আন্দোলন কমিটির সদস্যরা৷
শুক্রবার বিকালে ভাঙড় বিধানসভার দক্ষিণ গাজিপুর এলাকায় ছিল সিপিএমের জনসভা। সেখানেই জড়ো হন জমি আন্দোলন কমিটির সদস্যরা। মিছিল করে বাম কর্মী সমর্থকরা ওই জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন৷ অভিযোগ, মিছিল শ্যামনগর মোড়ে আটকে দেওয়া হয়৷ সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে গাড়ি চড়ে ফিরছিলেন আরাবুল ইসলাম৷ অভিযোগ, শ্যামনগর থেকে ফেরার পথে হঠাৎই জমি আন্দোলন কমিটির অন্তত পঁচিশজন সদস্য তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে। লোহার রড দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে তারা৷ হামলায় গাড়ির কাচও ভেঙে যায়৷ আচমকা হামলায় প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন আরাবুল ইসলাম স্বয়ং৷ ঘটনার বিরোধিতায় কাশীপুর থানার দ্বারস্থ হন তিনি৷ অভিযোগ দায়েরও করা হয়৷ জমি আন্দোলন কমিটির দুই নেতা অলীক চক্রবর্তী ও মির্জা হাসানকে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন আরাবুল ইসলামের অনুগামীরা৷ নতুনহাটের কাছে কলকাতা-শ্যামনগর রোড অবরোধও করেন তাঁরা। আরাবুলের দাবি, জমি আন্দোলন কমিটির দুই নেতা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে৷
যদিও খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ পরিস্থিতি সামাল দেন তাঁরা৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জমি আন্দোলন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করছেন আরাবুল ইসলাম। তৃণমূলই আমাদের মিছিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। মানুষ প্রতিবাদ করলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।’’ অভিযোগ-পালটা অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম ভাঙড়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.