Advertisement
Advertisement

Breaking News

রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি অনুব্রতর

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান না বাড়লে চরম পদক্ষেপ নেবেন জেলা সভাপতি।

Anubrata warns Rampurhat's chairman
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 6, 2019 8:09 pm
  • Updated:March 6, 2019 8:09 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান না বাড়লে দলের রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান-সহ তিন স্তরের নেতাকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক ও শহরের কর্মী সম্মেলনে এই হুমকি দেন অনুব্রতবাবু। অন্যদিকে, মুরারই ২ নম্বর ব্লকের কর্মী সম্মেলনে দলের খারাপ ফলাফলের জন্য বাম-কংগ্রেসের জোট এবং মোতাহার হোসেনের প্রভাবকে বড় করে দেখান অঞ্চল সভাপতিরা।

বুধবার দুপুরে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় আখিরা গ্রামে। সভায় প্রশ্ন উত্তরে বিভিন্ন অঞ্চল এবং রামপুরহাট শহরের বেশ কিছু বুথে দলের পরাজয়ের কারণ জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। বড়শাল অঞ্চল সভাপতি বসন্ত মুখোপাধ্যায়কে ডেকে বলেন লোকসভা ভোটে জয়ের ব্যবধান আড়াই হাজার না হলে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই অঞ্চলে তৃণমূল ৬৪৫ ভোটে এগিয়ে ছিল। ৯টি অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে কথা বলার পর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে বলেন, ‘৩০ হাজার ভোটে জয়ের ব্যবধান রাখতে হবে। কোনও কথা শোনা হবে না। তার জন্য কারও ছাদে উঠবে না প্রাচীরে উঠবে তুমি দেখ। তা না হলে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’ এরপরে রামপুরহাট শহর সভাপতি অমিত চক্রবর্তী এবং রামপুরহাট পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারিকে ডেকে ধমক দেন অনুব্রত। সেই সঙ্গে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় লোকসভায় ১৫ হাজার ভোটে লিড না দিতে পারলে সরিয়ে দেওয়া হবে। রামপুরহাটে পুরসভায় ৫২টি বুথ। তার মধ্যে তৃণমূল ১৮টি বুথে পিছিয়ে রয়েছে। গত বিধানসভায় মাত্র ২৫৪৩ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। এতে সন্তুষ্ট নন সভাপতি। তাই তিনি জয়ের মার্জিন নির্দিষ্ট করে দেন। যদিও অশ্বিনী তিওয়ারি মঞ্চ থেকে দলীয় কাউন্সিলর এবং বুথ সভাপতিদের সম্মতি নিয়ে জেলা সভাপতিকে কথা রাখার আশ্বাস দেন।

Advertisement

[বাংলায় বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]

এদিকে সভা শেষে এক মহিলা উঠে দাঁড়িয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস হোসেনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। এদিনই বিকেলে মুরারই ২ নম্বর ব্লকের পাইকরে তৃণমূলের কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আমডোল অঞ্চল সভাপতি বলেন, “এলাকা ছিল মোতাহার হোসেনের। তিনি মারা গেলেও তাঁর প্রভাব আজও আছে। তাই গত বিধানসভায় ফল কিছুটা খারাপ হয়েছিল।” বুথ সভাপতিরা বলেন, “দলের অন্দরে বিবাদের জন্যই দলের ফল খারাপ হয়েছিল। মিত্রপুরে সিপিএম ও কংগ্রেসের শক্তি বেশি ছিল বলে ফল খারাপ হয়েছে। তবে এখন জোটের কংগ্রেস প্রার্থী তৃণমূল যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বাড়বে”

[নীল-সাদা ছটায় তৃণমূলের নতুন লোগো, প্রোফাইলের ছবি বদলালেন মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement