ফাইল চিত্র
স্টাফ রিপোর্টার, কাটোয়া: মঙ্গলকোটের দলীয় কর্মীদের অভিভাবক যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব। বার্তা অনুব্রত মণ্ডলের। এককালে এই মঙ্গলকোট এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব দাপটের সঙ্গে সামলেছিলেন তিনি। গরুপাচার মামলায় জেলে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুবছর। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর এই প্রথমবার মঙ্গলকোটের মাটিতে পা রাখলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
মঙ্গলবার মঙ্গলকোটের সন্তীপীঠ ক্ষীরগ্রামের দেবী যোগাদ্যা মন্দিরে পুজো দিতে এসে কেষ্ট বলেন, “মঙ্গলকোটের মাটি তৃণমূলের শক্ত খাঁটি। তাই মঙ্গলকোট নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। আগে যেভাবে দলের কর্মীদের অভিভাবকের মতো ছিলাম। তেমনই থাকব।” তাহলে এবার থেকে মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আগের মতো আপনাকে দেখা যাবে? জবাবে তিনি জানান, “একশোবার দেখা যাবে। অচল (বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরি) ডাকলেই আমি আবার আসব।”
এদিন অনুব্রতের সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। সুকন্যার হাতে ছিল তাঁর মায়ের ছবি। প্রথমেই দেবীর মন্দিরে পুজো দেন তাঁরা। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও আলাদা করে দক্ষিনা দিয়ে পুজো দেন। অনুব্রত মন্দির চত্বরে কিছুক্ষণ ঘোরেন। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরি। এদিন অনুব্রত আসছেন শুনে মঙ্গলকোট ও কাটোয়া এলাকা থেকে অনেক কর্মী ক্ষীরগ্রামে চলে আসেন। প্রচুর লোকজনের জমায়েত ছিল।
উল্লেখ্য, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রাম বিধানসভা এলাকা। এই তিন বিধানসভা এলাকার দলীয় সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলে এসেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু গরুপাচার মামলায় তিনি জেলে যাওয়ার পর বিশেষ করে মঙ্গলকোট ও আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্ব পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল নেতৃত্বকে দেয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে অনুরতকে এযাবৎ আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট এলাকায় দেখা যায়নি। প্রায় দুবছর পর এই এলাকায় দেখা গেল তাঁকে। হাসিখুশি মেজাজেই দেখা যায় তাঁকে। দলীয় কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে অনুব্রতকে বলতে দেখা যায়, “কোনও চিন্তা কোরো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে আছেন। তোমরাও নেত্রীর পাশে এইভাবেই থেকো। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দল বলেছে পূর্ব বর্ধমান মধ্যে ওই তিন বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক কার্যকলাপ জেলার মধ্যেই থাকবে। এখনও পর্যন্ত সেটাই আছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.