Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Mondal

‘আমি জীবনে কাটমানি খাইনি’, নাম না করেই কাজল শেখকে তোপ অনুব্রতর

বুধবার নলহাটিতে এমন মন্তব্য করেন অনুব্রত।

Anubrata Mondal attacks Kajal Sheikh without naming at Nalhati
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:February 5, 2025 10:49 pm
  • Updated:February 5, 2025 10:50 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, সিউড়ি: তিনি কাটমানি খান না বলে জানালেন অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির এই মন্তব্যে জোর শোরগোল চলছে। বুধবার এই মন্তব‌্য করার পাশাপাশি ফের নাম না করে সভাধিপতি কাজল শেখকেও এক হাত নিয়েছেন অনুব্রত।

সভাধিপতির সঙ্গে অনুব্রতর দ্বৈরথ থামছেই না। জেলা পরিষদ ঠিকমতো উন্নয়নের কাজ করছে না বলে মঙ্গলবার অনুব্রত তোপ দাগায় পালটা দিয়েছিলেন কাজল। এবার পালটা দিতে গিয়ে কাজলের নামই করলেন না অনুব্রত। বুধবার তিনি বরং কটাক্ষ করলেন, ‘‘কে কী বলছে, তার নাম নিয়ে তাকে হাইলাইট করব না। আমি ছোট থেকে দলটা করি। ৬৮ বছর বয়সে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন আমি সেই পথেই চলব।’’ তাঁর মন্তব‌্য, ‘‘আমি জীবনে কাটমানি খাইনি। রাজস্ব বাড়ুক। জেলাশাসককে বলেছি রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছে। তা বাড়াতে হবে।’’

Advertisement

এর আগে জয়দেবের মেলার মাঠে মঞ্চে অনুব্রতকে প্রণাম করলেও ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কাজল মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘‘উনি জেলা সভাপতি। কিন্তু জেলায় দল চালাবে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কোর কমিটি।’’ কাজলের বক্তব্যে রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছিল।

বুধবার নলহাটি, সাঁইথিয়ায় ধর্মীয় ক্ষেত্রে যান অনুব্রত। নলহাটির চামটিবাগানের পালোয়ান বাবার মাজারে তাঁকে দেখতে সেই আগের মতোই ভিড়। অনুব্রতর দাবি , ‘‘এটা মানুষের ভালোবাসা।’’ এদিন অনুব্রত বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করে বলেছেন আউসগ্রাম মঙ্গলকোট দেখ। আমি বলেছি সেখানকার বিধায়ক শাহনাজ হোসেন ভালো কাজ করছে। ও কেতুগ্রামে যখন আমাকে দরকার পড়বে আমাকে ডেকে নেবে।’’ উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই দুটি বিধানসভার দায়িত্ব কাজলকে দেওয়া হয়। তিনি আবার শাহনাজের ভাই। প্রকারান্তরে তিনি গৃহবিবাদের একটা বিতর্ক উসকে দিলেন।

তবে কাজল মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, ‘‘আঙুর ফল টক। তাই খেতে না পেয়ে অনুব্রত দিশা হারিয়েছেন।’’ প্রত্যুত্তরে অনুব্রত জানান, ‘‘আমি জীবনে কাটমানি খাই না।’’ তবে অনুব্রত তাঁর পছন্দের কাউকে জেলা সভাধিপতি পদে বসাতে এই চক্রান্ত করছেন বলে কাজলের দাবি। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘একটা দুষ্টচক্র কাজ করছে।’’ অনুব্রত সে প্রশ্ন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘জেলা সভাধিপতি পরিবর্তন কেন করতে যাব। এটা ফালতু কথা।’’ তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, অনুব্রত-কাজলের বাকযুদ্ধ সহজে থামার নয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement