ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অনুব্রত ‘নকুলদানা’ দাওয়াইয়ের জল গড়াল মার্কিন মুলুকে৷ কমিশনের পর এবার নকুলদানা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর কাছে চিঠি এল আমেরিকা থেকে৷ চিঠিতে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, “আপনি ভোটারদের নকুলদানা দিচ্ছেন৷ আপনার বিশ্বাস, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবে। আপনি যদি সত্যিই নকুলদানা ভালবাসেন, তা হলে আমরা কিছু নকুলদানা আপনাকে দিতে পারি৷ কিন্তু ওটা কি আপনার পক্ষে ভাল হবে?” এমনকী চিঠিতে তাঁর স্ত্রী, মেয়ের কথাও জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁর দেহরক্ষীরাও যে নকুলদানা খায়, তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
যা নিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন নকুলদানা, পরিবার এবং দেহরক্ষীর কথা লিখে কি অনুব্রতকে হুমকি হয়েছে? তবে এই বিষয়টি সেভাবে গুরুত্বই দিচ্ছেন না স্বয়ং অনুব্রত মণ্ডল৷ তিনি হেসে বলছেন, “ভাগ্যবান ছাড়া কি কেউ আমেরিকা থেকে চিঠি পায়? হুমকি নয় নকুলদানা সম্বন্ধে জানতে আমেরিকা থেকে চিঠি পাঠিয়েছে। ভোটের পর আমি এর উত্তর দিয়ে চিঠি দেব।” শুক্রবার বোলপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চিঠিটি পড়ে শোনান৷ নকুলদানা হোলসেলার অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷তাতে লেখা- “আমাকে আমেরিকা থেকে একজন চিঠি দিয়েছে, নকুলদানা নিয়ে জানতে চেয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে ‘আপনি ভোটারদের নকুলদানা দিচ্ছেন, আপনার বিশ্বাস তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবে। আপনি যদি সত্যিই নকুলদানা ভালোবাসেন, তা হলে আমরা কিছু নকুলদানা আপনাকে দিতে পারি, কিন্তু ওটা কি আপনার পক্ষে ভাল হবে। ভুলে যাবেন না আপনার হাই ব্লাড সুগার। আপনার স্ত্রী এবং মেয়ের খবর কী? তাঁরাও কি নকুলদানা খেতে ভালবাসে? আবার আপনি বলেছেন নির্বাচন কমিশনও নকুলদানা খায়। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার দেহরক্ষীরাও নকুলদানা খায়?”
এরপর অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমার সুগার নেই, তাই নকুলদানা খেতেই পারি। আর ওনারা নকুলদানাকে ভালবেসে জানতে চেয়েছে। ওনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাকে অনেকেই ভালবাসে, এর আগে লন্ডন থেকেও চিঠি পেয়েছি।” আর নকুলদানা নিয়ে কমিশনের শোকজ নিয়ে অনুব্রতর সাফ জবাব, ‘‘কমিশন যতবার শোকজ করবে আমি তার উত্তর দেব।’’ বোঝাই যাচ্ছে, ভোটের বাজারে নকুলদানার গুরুত্ব বেশ বেড়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.