Advertisement
Advertisement

Breaking News

ব্যক্তিগত

ভোটপ্রচারে মোদিকে ‘ব্যক্তিগত’ আক্রমণ, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যে বিতর্ক

'সংসার করেননি, মানুষের উপকার করবেন কীভাবে?', প্রশ্ন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির।

Anubrata Mandol attacks Narendra Modi personally at election campaign
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 26, 2019 8:50 pm
  • Updated:August 6, 2021 7:11 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এবার নরেন্দ্র মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের নলহাটির কলিঠা এবং বাউটিয়ায় দুটি সভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। কলিঠার সভা থেকেই তাঁর কটাক্ষ, ‘জানি না মোদি কেন স্ত্রী’কে ত্যাগ করলেন। সংসার করেননি, ছেলেমেয়ে নেই৷ তাহলে উনি মানুষের উপকার করবেন কীভাবে?’

                               [ আরও পড়ুন: ‘বুথ দখলের চেষ্টা হলে চলবে গুলি’, প্রচার সভায় হুঁশিয়ারি বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর]

প্রচারে বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে অনুব্রতর কণ্ঠে আক্রমণের বেশ ঝাঁজ ছিল৷ তাঁর কথায়, ‘এই প্রধানমন্ত্রী বড়লোকের চৌকিদার, বেইমান। ভারতবর্ষকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের ক্ষতি করেছে। বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরি শুধু ভাঁওতা।’ নির্বাচনী প্রচারে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ প্রসঙ্গ৷ এনিয়ে রীতিমতো কটাক্ষের সুরে অনুব্রত বলেন, ‘অসমের জায়গা কি মোদির দাদু কিনে রেখে গিয়েছিলেন? তা না হলে এলাকার বাসিন্দাদের তাড়ানো হয় কীভাবে? এরাজ্য থেকে তো কাউকে তাড়ানো হয় না। এখানে সব ভাষাভাষীর মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন।’ উঠে আসে বিজেপি বিরোধিতার অন্যতম হাতিয়ার নোট বাতিলও৷ জেলা তৃণমূল সভাপতির তোপ, ‘নোট বাতিল করে মানুষকে বিপাকে ফেলেছিল মোদি সরকার। তারপর আইন আনতে চাইছিল, যে সমস্ত ব্যাংক দেউলিয়া হবে সেই ব্যাংকের উপভোক্তারা কোনও টাকা ফেরত পাবে না। এর প্রতিবাদ করেছিলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

Advertisement

                              [ আরও পড়ুন:  কার্যত চমকহীনভাবেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি]

মঙ্গলবার কলিঠা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ এবং বাউটিয়ার সভায় অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার দুই সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি-সহ একাধিক নেতৃত্ব থাকলেও, দেখা যায়নি বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়কে৷এমনকী, লোকসভার প্রচারে কোথাও প্রার্থীর নামই শোনা যায়নি জেলা সভাপতির বক্তব্যে৷ এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই অনুব্রতর চটজলদি জবাব, ‘আমরা দু’জন দু’দিকে প্রচার করছি। এটাই দলের নির্দেশ।’ জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর আরও পরামর্শ, প্রার্থীর দিকে তাকানোর দরকার নেই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন৷ বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব৷ মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা নিয়ে তাঁরা কমিশনে নালিশ জানাতে পারেন বলে খবর৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement