সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোলপুরের নিচুপট্টির ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রতর ঠাঁই আসানসোল জেল হাসপাতাল। সিওপিডি’র সমস্যা থাকায় রাতে জেলের হাসপাতাল ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। সেখানেই বুধবার প্রথম রাত কাটালেন অনুব্রত। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে থাকতে হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে।
বুধবারই মোট ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হয় অনুব্রতর (Anubrata Mandal)। তাঁকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তারপরই তাঁকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনা কাল থেকে সংশোধনাগারে ঢোকার সময় প্রত্যেক বন্দির কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক। সেই অনুযায়ী আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ঢোকার পর প্রথমে আইসোলেশন সেলে রাখা হয় তাঁকে। করানো হয় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর তাঁকে একটি আলাদা সেলে রাখা হয়।
ওই সেলে কার্যত ২ শয্যার মিনি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। দু’জন থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। তবে থাকবেন একা অনুব্রতই। ঘর লাগোয়া শৌচালয়। সেখানেই স্নানের বন্দোবস্তও রয়েছে। একটি সরকারি হাসপাতালের মতো লোহার খাট রয়েছে। তাতে নীল-সাদা ডোরাকাটা চাদর পাতা। তিনটি কম্বল দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। এছাড়াও ওই ঘরে রয়েছে একটি চেয়ার ও টেবিল। একটি টেবিল ফ্যানও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সূত্রের খবর, রাতের দিকে শরীর সামান্য খারাপ হয় তাঁর। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জেলের হাসপাতাল ওয়ার্ডে রাখা হয় অনুব্রতকে। অক্সিজেনের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। রাতে রুটি এবং তরকারি খান অনুব্রত। লোহার নিচু খাটে শুয়ে ঘুমোতেও দেখা গিয়েছে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলছেন না। নিজের প্রয়োজন বোঝাতে ইশারাকেই হাতিয়ার করেছেন অনুব্রত। আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে দাপুটে তৃণমূল নেতার।
গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতাকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। তাই তাঁকে জেরা করতে যেকোনও মুহূর্তে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে যেতে পারেন আধিকারিকরা। তবে বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের জেরা করা হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.