ছবি: বাসুদেব ঘোষ
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ‘‘প্রতিটি বুথে নকুলদানা রাখুন। নকুলদানার ভয়ংকর গুণ।’’ কর্মিসভায় দলের কর্মীদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সাফ কথা, ‘যে নকুলদানা খাবে, সেই তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবে। ইলেকশন কমিশনারও নকুলদানা খান।’
লোকসভা ভোটের মুখে হরেক দাওয়াই। বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেলায় যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও নকুলদানার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন অনুব্রত। বলেছিলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান গেলে তাঁদের স্যালুট করবেন তৃণমূল কর্মীরা। বাড়ি গেলে নকুলদানা দিয়ে জল খাওয়াবেন।’’ এরপরই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে বিরোধীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। বীরভূমের জেলাশাসকের কাছে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। কিন্তু তিনি যে দমবার পাত্র নন, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আবারও নকুলদানা খাওয়ানোর বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা৷
নদিয়ায় লোকসভা ভোটের সঙ্গেই হবে মাজদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনও। লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রূপালী বিশ্বাস ও বিধানসভা উপনির্বাচনে কৃষ্ণগঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী প্রমথনাথ বসু। দুই প্রার্থীর সমর্থনে মাজদিয়া হাইস্কুলের মাঠে জনসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জনসভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাঁচন বন্ধ হবে কেন? যেখানে যেমন দরকার, তেমনি চলবে।’’ জনসভায় কেন্দ্রকে যথারীতি একহাত নেন অনুব্রত মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.