সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন অনুব্রতকন্যা (Anubrata Mondal) সুকন্যা মণ্ডল। রওনা দিয়েছেন অনুব্রতর ভাইপো সাত্যকি মণ্ডলও। টেটে পাশ না করেও তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই আদ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে সুকন্যা, সাত্যকী-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ৬ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, এদিন তাঁরা আদালতে হাজিরা দেবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ অনুব্রত নিচুপট্টির বাড়ি থেকে রওনা দেন সুকন্যা। ব্যাগে ছিল বেশকিছু কাগজপত্র। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। এদিনও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অনুব্রতকন্যা। চিনার পার্কের ফ্ল্যাট হয়ে তিনি আদালতে যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, কোনওদিন তিনি বিদ্যালয়ে যাননি। হাজিরা খাতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানো হত। বাড়িতে বসে ওই খাতায় সই করতেন সুকন্যা। স্কুলে না গিয়েও প্রতি মাসে বেতনও পেতেন তিনি। অনুব্রতর মেয়ে-সহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। আইনজীবীর দাবি, অনুব্রতর ভাই সুমিত মণ্ডল, আপ্তসহায়ক অর্ক দত্ত, ভাইপো সাত্যকী মণ্ডল, তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদিও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র-সহ ওই ছ’জনকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তলবে সাড়া না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। বুধবারই বীরভূমের পুলিশ সুপারকে এই রায় নিয়ে আদালতের তরফে অবগত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.