ছবি: প্রতীকী
শেখর চন্দ্র: ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বুধবার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) তোলা হবে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে। ভারচুয়াল শুনানির যে আবেদন করা হয়েছিল সংশোধানাগারের তরফে, সিবিআই আদালতের বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে অনুব্রতকে।
তার আগে মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে আসেন গরুপাচারের তদন্তকারী সিবিআই (CBI) অফিসাররা। আসানসোল সংশোধনাগারে সায়গল হোসেন এবং অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞেসাবাদ করতে আসেন তাঁরা। সিবিআই প্রতিনিধির এক সদস্য প্রথমে সায়গল ও তারপরে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এর আগে ৬ দিন জেল হেফাজতের মাথায় অনুব্রতকে সংশোধনাগারে জেরা করা হয়েছিল। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ঢোকেন বিকেল ৪টে ৪০মিনিট নাগাদ। দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে আসেন তিনি। বেরিয়ে এসে তিনি কিছু না বললেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে প্রথমে সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossein) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সায়গলকে ২০মিনিট ও অনুব্রতকে প্রায় ৫০মিনিট মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সায়গলকে ১৪টি প্রশ্ন করা হয়। অনুব্রত মণ্ডলকে ২০টি প্রশ্ন করা হয়। সবই ছিল সম্পত্তির হিসেব সম্পর্কিত। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সাম্প্রতিকতম সিবিআইয়ের অভিযান বা সার্চ ওয়ারেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে। শেষ ৬ জায়গার সার্চ ওয়ারেন্টে কাউন্সিলর, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও সুকন্যার সম্পত্তির হদিশ নিয়ে বেশি প্রশ্ন হয়। জানা গেছে সায়গল কিছু কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
তবে অনুব্রত মণ্ডল আগের দিনের তুলনায় নমনীয় ছিলেন। দেখছি, খোঁজ নিচ্ছি, দেখবো এই সংক্রান্ত উত্তর দিয়েছেন বলেই খবর। অর্থাৎ একেবারেই তদন্তে অসহযোগিতার যে অভিযোগ উঠছিল এদিন তা কিন্ত হয়নি। তিনি কিছু কিছু প্রশ্নের সাবধানি উত্তর দিয়েছেন বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.