ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: ফের ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে মঙ্গলবার তৃণমূল যুবনেতা চঞ্চল বক্সির খুনের (Murder) ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আর সেই প্রসঙ্গ তুলেই অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, “১৫ দিনের মধ্যে যদি অপরাধী ধরা না পড়ে, তাহলে খুব ভয়ংকর খেলা খেলে দিয়ে যাব।” শুধু এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে তাঁর নিদান, “যদি দলের কেউ হয়, তাহলে আগে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত।” অনুব্রত মণ্ডলের এহেন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার আউশগ্রামের গেরাই গ্রামের দেবশালা অঞ্চলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সি। বুধবার নিহতের ভাই রাহুল বক্সি আউশগ্রাম (Aushgram) থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট যৌথভাবে এই তদন্ত শুরু করেছে। তবে ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও খুনিদের কেউ ধরা পড়েনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) দেবশালা গ্রামে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি কিছুক্ষণ নিহতের বাবা শ্যামল বক্সির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত মণ্ডল। চঞ্চল বক্সি খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এই খুনটা আমি মেনে নেব না। এই পরিবারটিকে খুব ভাল করে চিনি। এদের কোনও শত্রু ছিল না। যদি বিজেপি ভাবে মার্ডার করবে, তৃণমূল কংগ্রেস চুপচাপ বসে থাকলেও কেষ্ট মণ্ডল চুপচাপ থাকবে না। আমি মৃত্যুর ভয় পাই না। ১৫ দিনের মধ্যে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “১৫ দিনের মধ্যে যদি অপরাধী ধরা না পড়ে, তাহলে খুব ভয়ংকর খেলা খেলে দিয়ে যাব। ছাড়ার পাত্র আমি নই। পুলিশকে বলেছি। এসপিকে বলেছি। ১৫ দিনের মধ্যে প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনও কাহিনি শুনব না।” সাংবাদিকরা পালটা জানতে চান, এই খুনের ঘটনায় যদি দলের কেউ জড়িত থাকে? এই প্রশ্নের জবাবে অনুব্রত মণ্ডল কিছুটা রাগত ভাবেই বলেন, “যদি দলের কেউ হয়, তাহলে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.