ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) নিয়ে সাম্প্রতিক তরজায় তাঁর পাশেই দাঁড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বললেন, ”শুভেন্দু তো বিজেপিতে যাওয়ার কথা বলেননি। সে তৃণমূলেই আছে। কেন বলব তাঁর সম্বন্ধে? সে তো বিজেপি করেনি বা বিজেপিতে যোগ দেয়নি। আমিও অনেক সময় ফ্ল্যাগ ছাড়া মিটিং করি, এটা আমাদের কৌশল হতে পারে।”
বুধবার বীরভূমের লাভপুরে তৃণমূলের কর্মীসভা ছিল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমুলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী, মান্নান হোসেন-সহ জেলা নেতৃত্বের বেশিরভাগই। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ”ফলাফল নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা রয়েছে। আর আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিম হল বিজেপির দালাল। এই দলটি ৩৬টি আসনে ভোট কেটে বিজেপিকে জিতিয়ে দিয়েছে। আমি মুসলিমের বন্ধু, কিন্তু ও মুসলিমের বন্ধু নয়। সম্পূর্ণ বিজেপির দালাল।”
বিহারে আশানুরূপ ফলাফল হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বলে জানিয়েছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির বক্তব্য, ”মিমকেও বিশ্বাস করবেন না। যে পয়সার বিনিময়ে বিজেপির দালালি করে, সে অন্যায় করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়র উন্নয়ের জন্য বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারবে না। আর এখানকার হিন্দু-মুসলিম খুব সচেতন। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি যদি এখানে প্রার্থী দেয়, সে ব্যাপারে এখানকার মুসলিম সম্প্রদায় সচেতন থাকবে।”
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর আলাদা অরাজনৈতিক মঞ্চ, দলের সঙ্গে দূরত্ববৃদ্ধি, বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তাতে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, এখন তিনি বিজেপিতে যাওয়ার কথা বলেননি, যানওনি। এরপর তিনি আরও বলেন, ”আমিও অনেক সময় ফ্ল্যাগ ছাড়া মিটিং করি, এটা
আমাদের কৌশল হতে পারে।” এই উত্তরেই স্পষ্ট, দলের অনেকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হলেও, মমতার আরেক ভরসাযোগ্য নেতা, দুঁদে রাজনীতিক অনুব্রত কিন্তু তাঁর পাশেই রয়েছেন। তাঁকে সমর্থন করতে গিয়ে কার্যত নিজেদের রাজনৈতিক কৌশলের কথাও বলে ফেললেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.