সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে সুর নরম অনুব্রত মণ্ডলের৷ ব্যতিক্রমীভাবে তাঁর গলাতেও শোনা গেল গান্ধীগিরির বার্তা৷ বিরোধীরা যদি এক গালে মারে, তবে দু’গাল বাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ বীরভূমের দাপুটে নেতার৷ কিন্তু কেন দাপুটে নেতার এমন বদল ঘটল, তা নিয়েই রাজনীতির অলিন্দে চলছে জোর আলোচনা৷ ভোটের আগে নাকি নিজের ভাল ইমেজ গড়ার চেষ্টাতেই এমন নরম হয়ে গিয়েছেন তিনি, টিপ্পনি কেটে একথাই বলছেন বিরোধীরা৷
ঘাসফুল শিবিরের একনিষ্ঠ সৈনিক তিনি৷ নরমে-গরমে কীভাবে সংগঠনকে মজবুত করে তুলতে হয়, তা তাঁর ভালই জানা রয়েছে৷ তাঁর কথার জাদুতে বরাবরই চাঙ্গা হয়ে ওঠেন দলীয় কর্মীরা৷ তাঁর বাক্যবাণে কুপোকাত বিরোধীরা৷ কখনও পাঁচন, তো কখনও নকুলদানার দাওয়াইতে বারবার রাজনীতির ময়দানে লাইমলাইটে চলে এসেছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ ভোটের আগে নকুলদানার দাওয়াই দিয়ে নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখেও পড়েছেন তিনি৷ কেন একথা বললেন, তা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে অনুব্রতকে৷ তবে তাতে যে তার তেমন কিছু যায় আসে না, তা নিজের কাজের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দাপুটে নেতা বারবারই নকুলদানার দাওয়াই দিয়েছেন৷ ‘পোল ভোট’-এর কথা বলতেও ছাড়েননি তিনি৷
তবে এহেন দাপুটে নেতাই নাকি আচমকা বদলে গিয়েছেন৷ সুর নরম করেছেন তিনি৷ যে অনুব্রতর মুখ খুললেই শোনা যেত হুঙ্কার, সেই নেতার মুখে শোনা গেল গান্ধীগিরির ডাক৷ দলীয় জনসভা থেকে কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোটের দিন কোনও গোলমালে জড়াবেন না৷ বিরোধীরা এক গালে চড় মারলে, আরেক গাল বাড়িয়ে দিন৷’’
আগামী ২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোটগ্রহণ পর্ব৷ তার আগে অনুব্রতর এমন সুর বদল সকলকেই যেন অবাক করেছে৷ বিরোধীরা যদিও তাঁর এই গান্ধীগিরির নেপথ্যেও রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছেন৷ তাঁদের পালটা দাবি, চড় মারলে, আরেক গাল বাড়িয়ে দেওয়ার বার্তার মাধ্যমে নাকি ভোটের আগে ভাল সাজার চেষ্টা করছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা৷ যদিও বিরোধীদের কূটকচালিতে কান দিতে নারাজ তৃণমূলের সেনাপতি৷ আপাতত ভোটপ্রচার নিয়ে বেশি ব্যস্ত তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.