Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশ্বভারতীতে বামপন্থীরা মস্তানি করলে তৃণমূল চুপ থাকবে না

‘বামপন্থীরা মস্তানি করলে তৃণমূল চুপ থাকবে না’, বিশ্বভারতী ইস্যুতে তোপ অনুব্রতর

উপাচার্যেরও কড়া সামলোচনা করলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।

Anubrata Mandal jibes at Left minded students of Biswabharati.

ফাইল ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 17, 2020 6:44 pm
  • Updated:August 7, 2021 12:34 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিশ্বভারতীতে বাম ছাত্রদের উপর হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়, “বহিরাগতদের বিশ্বভারতীতে এনে বামপন্থীরা মস্তানি করলে তৃণমূল চুপ করে বসে থাকবে না।” অনুব্রতর সাফ কথা, “আমি বিশ্বভারতী নিয়ে কোনওদিনই মাথা ঘামায় নি। তবে রাজ্য সরকার আমাকে দায়িত্ব দিলে, শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাকে নির্দেশ দিলে আমি বিশ্বভারতী নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবব।” একইসঙ্গে তিনি উপাচার্যেরও কড়া সামলোচনা করেন।   

শুক্রবার মহম্মদবাজারে জনসভা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সভায় বিশ্বভারতীতে JNU কায়দায় হামলা নিয়ে মুখ খোলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। অনুব্রতর অভিযোগ, বামপন্থীরা বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে অশান্তি পাকাচ্ছে। এ পসঙ্গে তিনি বলেন, “বামপন্থীর যদি যাদবপুর থেকে লোক এনে ভাবে বিশ্বভারতীতে মস্তানি করব, তার তিনগুন মস্তান বোলপুরে আছে। তারা (বামপন্থীরা) মুর্খের স্বর্গে বাস করছে।” অশান্তি প্রসঙ্গে উপাচার্যকেও একহাত নেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, “আমি জানি না, কী ধরনের উপাচার্য্ উনি! কখনও বলছেন, মেলা হবে, আবার বলছেন মেলা হবে না। দোল, বসন্তোৎসব হবে না। আমি বলি, যা মন চায়, তাই করা যাবে না।” উপাচার্যকে ‘নড়বড়ে’ বলে কটাক্ষ করেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁর কথায়, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য নড়বড়ে। তার কথায় অভিভাবক ঠিক না হলে তার প্রতিষ্ঠানও নড়বড়ে হবে।” বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের উদ্দেশে অনুব্রতর বার্তা, “রাজ্য সরকারকে অবমাননা করা যাবে না। আমি নির্দেশ পেলে দেখে নেব। বিশ্বভারতীতে এবিভিপি বাড়ছে না এসএফআই বাড়ছে! ওটা সামান্য দু-একদিনের ব্যাপার। সবাই জানে, সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না। কী করে ঘি তুলতে হয়, তা আমার জানা আছে।” একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, “বিশ্বভারতীতে অন্যায় করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।”

Advertisement

এদিকে শুক্রবার রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া পুরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক আসন বিন্যাসের তালিকা প্রকাশ হয়। জেলায় একসঙ্গে পাঁচটি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। মহম্মদবাজারে জনসভা শেষে প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, “মানুষ যা চাইবে, তাই হবে। মানুষ যদি একদিনে ভোট হবে বলে, তাহলে তাই হবে। সামনেই বিধানসভা ভোট। তাই আমরা মানুষের ভোটে জয়ী হতে চাই। তবে কেউ যদি ভোট দেখতে যায়, যাবে।” গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯টি ব্লকের মধ্যে মাত্র তিনটি ব্লকে আংশিক নির্বাচন হয়েছিল বলে অভিযোগ। ফলে পাঁচটি পুরসভার নির্বাচন নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement