নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। সেই কারণে সিবিআইয়ের (CBI) স্ক্যানারে অনুব্রত ঘনিষ্ট এই ব্যবসায়ী। একাধিকবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার তা নিয়ে সরব হলেন রাজীববাবু। রবিবার বীরভূমের (Birbhum) আমোদপুরে তৃণমূলের এক মিছিল থেকে তিনি প্রশ্ন তুললেন, ”মৃতপ্রায় মানুষকে টাকা দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি, কী ভুল করেছি? আমাকে ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল থেকে সরানো যাবে না। তৃণমূলে ছিলাম, সেখানেই থাকব অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হয়ে।”
রাজীব ভট্টাচার্য বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বীরভূম জেলার একধিক রাইস মিলের মালিক তিনি। পাশাপাশি সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই সিবিআইয়ের নজরে এই ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি। দেখা গিয়েছে, অনুব্রতর ক্যানসার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল ৬৬ লক্ষ টাকা। তাতেই সন্দেহ জেগেছে তদন্তকারীদের।
একসময় সামান্য লটারি টিকিট বিক্রেতা ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। সেখান থেকেই তাঁর এই প্রতিপত্তি দেখে অনেকেরই অভিযোগ যে অনুব্রত মণ্ডলের হাত তাঁর মাথায় পড়ার পরই এত আর্থিক উন্নতি। এই যোগসূত্র ধরে একাধিকবার সিবিআইয়ের তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রাজীবকে। তাঁর বীরভূমের বাড়িতে তল্লাশিও চলেছে।
রবিবার বীরভূমের আমোদপুর এলাকায় তৃণমূলের তরফে একটি মিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে এবার হুঙ্কার দিতে শোনা গেল রাজীব ভট্টাচার্যকে। তিনি বলেন, ”একজন মৃতপ্রায় মানুষকে আমি টাকা দিয়েছিলাম। আমার কাছে টাকা ছিল, তাই দিয়েছি। এতে আমি কোন অন্যায়টা করেছি? সিবিআই যতবার ডেকেছে আমি আগে পৌঁছেছি, সহযোগিতা করেছি আগামীতেও করব। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি, শুধুমাত্র এইটুকু বলতে এসেছি যে, অনুব্রত মণ্ডলকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে রাখার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলনকে তিনগুণ বাড়াব।” এর পাশাপাশি তিনি কড়া হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ”তৃণমূল কংগ্রেসে আছি, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.