রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে মদের আসর! আর সেই গন্ধে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজন। এমনই অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ঠিক কী হয়েছিল? বুধবার রাত ১১টা নাগাদ এগরা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কাঁচের বোতল ভাঙার শব্দ পাওয়া যায়। আচমকাই শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রসূতিরা। সেই সময় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বাইরে ছিলেন প্রসূতির বাড়ির লোকজন। আওয়াজ পান তাঁরাও। তড়িঘড়ি প্রসূতি বিভাগের ভিতরে ছুটে যান তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। তাঁরা দেখেন, প্রসূতি বিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা মদের বোতল। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, হাসপাতালের কোনও এক কর্মী প্রসূতি বিভাগের মধ্যে দিয়ে ভিতরে মদের বোতল নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অসতর্কতায় তা ভেঙে যায়।
হাসপাতালে মদের বোতল ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রসূতি এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করে দেওয়ার কাজ শুরু করার চেষ্টা করেন। তবে প্রসূতির পরিজনেরা তাতে বাধা দেন। অবশেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আসে।
হাসপাতালে ভাঙা মদের বোতল উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তুমুল হইচই। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। ওই হাসপাতালে প্রতি রাতেই কি মদের আসর বসে? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কি এ বিষয়ে কিছু জানা রয়েছে? যদি জানা থাকে তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা রুখতে কোনও উদ্যোগ নিল না কেন? যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.