সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল কায়দা (Al Qaeda) যোগে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে গ্রেপ্তার আরও এক। NIA এবং রাজ্য পুলিশের STF যৌথ অভিযান চালিয়ে শামিম আনসারি নামে বছর একুশের ওই যুবককে জঙ্গিযোগ সন্দেহে শুক্রবারই অস্ত্রসমেত গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সূত্র জানতে চাইছিলেন তদন্তকারীরা। শেষমেশ আল কায়দা যোগে ধৃত জেলার ৬ সদস্যের সঙ্গেই যে কাজ করত শামিম, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ সিজেএম আদালতে পেশ করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে NIA.
গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও কেরলের এর্নাকুলাম থেকে আল কায়দা যোগে মোট ৯ জন ধরা পড়েছে NIA’র হাতে। আর তারপর থেকে তদন্তের স্বার্থে জাতীয় সংস্থাটির নজরে দেশের সীমান্তবর্তী মাদ্রাসাগুলি। ধৃতদের জেরা করে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে মাদ্রাসার আড়ালে নানারকম জেহাদি কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে ধৃত আল মামুনের মাদ্রাসাটিও তাই তাঁদের নজরে ছিল। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় মাত্র ২১ বছরের শামিমকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্রশস্ত্র। এরপরই তাকে জেরা শুরু করে এনআইএ।
জানা যায়, বছর দুই আগে শামিমকে কাজে নিয়োগ করে জঙ্গি সংগঠনটি। তরুণ প্রতিনিধি হিসেবে তার মগজধোলাই করে জেহাদে উদ্বুদ্ধ করা হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি শামিমের কাজ ছিল, মাদ্রাসায় আগত তরুণ ছাত্রছাত্রীদের এভাবেই নিজেদের পথে টানা। NIA’র জেরায় শামিম নিজে এসব তথ্য জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জঙ্গিদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও সক্রিয় সদস্য ছিল শামিম আনসারি।
জেরায় শামিমের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে NIA তাকে মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত বাকি ৬ জনের সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। শনিবারই মুর্শিদাবাদের আদালতে পেশ করে শামিমকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়েছে এনআইএ। আজ তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের। সেখানকার এনআইএ আদালতে তাকে পেশ করা হবে।
এ নিয়ে আল কায়দা জঙ্গিযোগ সন্দেহে বাংলা থেকে ধৃত মোট ৭ যুবক। তবে দেশজুড়ে এত বড় একটা জঙ্গিচক্রের হদিশ পাওয়ার পর তল্লাশি আরও জোরদার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাংলা এবং কেরলের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকেও নজরে আনা হচ্ছে। চলছে ধরপাকড়ও। শামিমের পাশাপাশি আরও ৩ জন যুবককে আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তাদের সঙ্গে আদৌ আল কায়দা বা অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা। চলছে জেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.