রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ঘটনার দিনই স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তারপর কটকের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগেরও। শুক্রবার সন্ধেয় এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় একজনের। দুপুরে প্রাণ হারান আরও একজন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ জন।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মাইতি এবং পিঙ্কি মাইতি। তাঁরা এগরার বাসিন্দা। দগ্ধ অবস্থায় ভরতি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। তিনদিন ধরে লড়াইয়ের পরেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁদের।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে, এগরার খাদিকুল ব্লকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। এগরা থানার আইসিকে শোকজ করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপর শুক্রবারই আইসি বদলের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এতদিন দায়িত্বে ছিলেন মৌসম চক্রবর্তী। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ইনস্পেক্টর হিসেবে। আর এগরা থানার নতুন আইসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বপন গোস্বামীকে। বিস্ফোরণের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃতি-সহ বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.