সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: বন্য জন্তুর আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে ছাড়ছে না শিলিগুড়িবাসীর। বৃহস্পতিবার রাতে বাগডোগরার ব্যাংকডুবি সেনা ছাউনিতে ফের ধরা পড়ল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। ছাগলের টোপ দিয়ে চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করলেন বনকর্মীরা। এরআগে মঙ্গলবার রাতে শিলিগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে সেবক রোডের আড়াই মাইলে ধরা পড়েছিল চিতাবাঘ।
[শিলিগুড়িতে আতঙ্কের অবসান, কুকুরের টোপে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘ]
শিলিগুড়িতে ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক। তবে এবার আর মূল শহরে নয়, শহরের উপকণ্ঠে বাগডোগরার ব্যাংকডুবি সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়েছিল এক চিতাবাঘ। ওই সেনা ছাউনির ভিতরে কোয়ার্টারে থাকেন জওয়ানদের পরিবারের লোকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রায় তিনদিন ধরে সেনা ছাউনিতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল চিতাবাঘটি। এলাকার বেশ কয়েকটি গরুকে চিতাবাঘটি আক্রমণ করে। বন বিভাগের সঙ্গে যোগযোগ করে সেনা কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকডুবি সেনা ছাউনিতে খাঁচা পাতেন বনকর্মী। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় একটি ছাগলকে। বৃহস্পতিবার রাতে খাঁচায় ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। বাগডোগরা স্কোয়াডের রেঞ্জার পেম্বা শেরপা জানিয়েছেন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাতে চিতাবাঘটি নিয়ে যাওয়া হয় শালুগারার বেঙ্গল সাফারি পার্কে। প্রাণীটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন পশু চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ রাখার পর চিতাবাঘটি ছেড়ে দেওয়া হবে শিলিগুড়ি মহানন্দা অভয়ারণ্যে।
[সন্তানদের কাছে অবাঞ্ছিত বৃদ্ধ রোগীদের পুনর্বাসন দেবে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল]
এরআগে শিলিগুড়ির সেবক রোড়ে একটি শপিং মলে চিতাবাঘ দেখা গিয়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শহরে দাপিয়ে বেড়িয়েছিল বন্যপ্রাণীটি। এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু, প্রথমবার ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পেতে চিতাবাঘটিকে ধরতে পারেননি বনকর্মীরা। সোমবার রাতে আড়াইমাইল এলাকার ফের চিতাবাঘ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, রাস্তার বেশ কয়েকটি কুকুরকে আক্রমণ করেছে চিতাবাঘটি। আড়াই মাইলে ফের খাঁচা পাতেন বনকর্মীরা। এবার কুকুরের টোপ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে খাঁচাবন্দি হয় বন্যপ্রাণীটি। সুকনা বনবিভাগের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চিতাবাঘটিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগাতার নগরায়ণের ফলে উত্তরবঙ্গে বনভূমি কমছে। তাই খাবারের সন্ধানে বারবার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে চিতাবাঘের মতো হিংস্র জন্তুরা।
[মালগাড়ির উপরে দাঁড়িয়ে সেলফির মাশুল, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গেল কিশোর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.