অর্ণব আইচ: কলকাতা পুলিশের জালে আরও এক জেএমবি জঙ্গি। আসিফ ইকবাল ওরফে নাদিম নামে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে সোমবার রাতে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। মঙ্গলবার তাকে ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হলে, ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বোমারু মিজান ওরফে কওসর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই এসটিএফ-এর সক্রিয়তা বেড়েছে। রাজ্যের আনাচকানাচে জাল বিছিয়ে থাকা জামাত জঙ্গিদের খোঁজে নানা জায়গায় তল্লাশি চলছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তরফে। তাতেই ধরা পড়েছে খাগড়গড়কাণ্ডে জড়িত আরও কয়েকজন। সম্প্রতিই আরিফুল ইসলাম নামে একজনকে বাবুঘাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অন্যদের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এবার সেই সূত্রেই এসটিএফ-এর পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল বছর বাইশের আসিফ ইকবাল ওরফে নাদিম ওরফে মতিউর রহমান। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের কুলগাছি গ্রামের বাসিন্দা সে। ২০১৭ সালে থেকে জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত, সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। জেএমবি-তে যোগ দেওয়ার পর আসিফকে বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় প্রশিক্ষণে জন্য। সেখানে কওসরের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পায় সে। সংগঠনের অর্থভাণ্ডার আরও শক্তিশালী করতে সেখানে বেঙ্গালুরুতে কওসরের নির্দেশে বেশ কয়েকটি ডাকাতি, লুটপাটের ঘটনাও ঘটায় আসিফ। এরপর চলে আসে কলকাতায়। এসটিএফ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধের ট্রেনে আসিফ চেন্নাই যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তখনই তাকে সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হলে, ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
শহরে ‘ছেলেধরা’ গুজবে কাদের ইন্ধন, খোঁজ নিচ্ছে লালবাজার
আসিফ নিজে খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সীমান্ত পেরিয়ে এরাজ্যে ঢুকে নানা জায়গায় নিজেদের মডিউল বানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ছড়িয়ে গিয়েছে রাজ্যের বাইরেও। বিশেষত দক্ষিণ ভারতে জেএমবি আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে তাকে সন্ত্রাসের কাজে লাগানোর চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেনি। তাই খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল চক্রী কওসর নিজে সংগঠনের অনেক সদস্যকেই চেন্নাই বা বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এসটিএফ তদন্তে নামার পর থেকেই এনিয়ে নানা তথ্য মিলতে থাকে। একে একে জেএমবি-তে যুক্ত সদস্যদের ধরপাকড়ের পর তাদের জেরা করে মডিউলগুলি ভাঙতে চাইছে এসটিএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.