সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভাঙছে কংগ্রেস৷ সব ঠিকঠাক থাকলে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে নাম লেখানোর আর্জি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক৷ জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ছাড়তে চাওয়া বিধায়কদের নামের তালিকা নিয়ে দলের শীর্ষস্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ সূত্রের খবর, নামের তালিকায় প্রথমে রয়েছে ফরাক্কা বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকের নাম৷
বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের বিধায়কের দলবদলের জল্পনা ঘুরছিল রাজনীতির বাজারে৷ যদিও, সেই জল্পনা নিজেই আরও উসকে দিয়েছেন বিধায়ক স্বয়ং৷ গত বৃহস্পতিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে বৈঠক করেন ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক৷ প্রায় এক ঘণ্টা চলে বৈঠক৷ শুধু কংগ্রেস বিধায়ক নন, ছিলেন কংগ্রেসের আরও দুই শীর্ষ নেতা৷ একান্তে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি৷ কিছু দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, কংগ্রেসের দু’এক জন সাংসদ ও বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন৷ গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর থেকে সেই সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা করার পর সম্ভবত ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যাতে পারে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধানসভার সদস্যদের৷ মনে করা হচ্ছে, ওই দিনই হাতকে বিদায় জানিয়ে ঘাসফুলের আশ্রয় নিতে পারেন বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি৷
গত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছে, মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) দল ছাড়তে চলেছেন৷ এমনকী, কংগ্রেসের এই শক্ত ঘাঁটিতে বড়সড় ভাঙন ধরতে চলেছে, তা মালদহ জেলাজুড়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। যা বেশ খানিকটা উসকে দেয় জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, “জেলার প্রথম সারির কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ রাখছেন।” এরপরই দেখা যায়, মালদহ জেলার কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা ভিড় জমাচ্ছেন রাজ্যের শাসকদলের প্রথম সারির নেতৃত্বের বাড়িতে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মালদহ জেলার দুই বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও সাবিনা ইয়াসমিন৷ এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেখা গেল, বিধায়কদের পর কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি গেলেন পার্থবাবুর বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকও৷
রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, মালদহ জেলায় কংগ্রেস আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না, এটা বুঝেই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা। বেশ কিছুদিন ধরেই মালদার দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ও মৌসম বেনজির নুরকে নিয়ে জল্পনা চলছিল৷ গত বৃহস্পতিবার ডালুবাবু সেই জল্পনাকে আরও উসকে দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.