সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: মাঝেরহাট সেতুভঙ্গের রেশ না কাটতেই ফের ভেঙে পড়ল আরও একটি সেতু। এবার ঘটনা শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায়। পণ্যবাহী ট্রাক সমেত মাঝখান থেকে ধসে পড়ল সেতু।
[সেতু ভেঙে পাসপোর্ট ‘মাটির তলা’য়, স্বপ্নভঙ্গ বিদেশযাত্রার]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। আর পাঁচটা দিনের মতোই যান চলাচল করছিল পিচলা নদীর সেতুটির উপর। হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দে মাঝখান থেকে ধসে জায় সেতুটি। ভাঙা ব্রিজটিতে এখনও বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে একটি ইটবোঝাই ট্রাক। আহত হয়েছেন গাড়িটির চালক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ফাঁসিদেওয়ার বিডিও প্রণব কুমার মজুমদার-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা। এই সেতু দিয়ে চটেরহাটে যান নিত্যযাত্রীরা। সাতসকালে এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় ব্রিজটি। খুব বেশি পুরনো না হওয়ায় কীভাবে ব্রিজটি ভেঙে পড়ল তানিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, গত মাসে এই ফাঁসিদেওয়া ব্লকেই ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের একটি নির্মিয়মাণ উড়ালপুল ভেঙে পড়েছিল। রাজ্যের একের পর এক ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। মাঝেরহাট কাণ্ডের চারদিনের মধ্যেই ফের সেতুভঙ্গের ঘটনায় জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পর রাজ্যজুড়ে সেতুগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের তদন্তে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক খবর। জানা গিয়েছে, খোদ শহর কলকাতার একাধিক সেতুর অবস্থা শোচনীয়। যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। হেলথ অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাওড়া ময়দানগামী বঙ্কিম সেতুর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন৷ ওই সেতুতে বাসের পাশাপাশি ভারী পণ্যবাহী গাড়িও যাতায়াত করে৷ তার জেরে দেখা দিয়েছে ফাটল৷ এছাড়াও সেতুর পাশেই চলছে মেট্রো প্রকল্পের কাজ৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, তাই ওই সেতুর ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি৷ দ্বিতীয় আশঙ্কার কারণ বাঘাযতীন সেতু৷ স্বাস্থ্যের নিরিখে সেতুটিও অত্যন্ত দুর্বল৷ এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিংড়িঘাটা, ঢাকুরিয়া ব্রিজ, অরবিন্দ সেতু ও বিদ্যাপতি সেতুর অবস্থাও বিপজ্জনক৷ তাই যেকোনও মুহূর্তে আবারও বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের৷ হেলথ অডিট রিপোর্ট জমা পড়বে নবান্নে৷ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ব্রিজগুলি সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করা হবে৷
দেখুন ব্রিজ ভেঙে পড়ার ভিডিও-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.