সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিস্ফোরণ পাহাড়ে। বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ নেপাল সীমান্ত লাগোয়া সুখিয়াপোখরি থানার বাইরে জোরাল বিস্ফোরণ হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
[জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতেই বিক্ষোভ কাশ্মীরি পড়ুয়াদের]
গেটের বাইরে বিস্ফোরণ হওয়ায় থানার ভিতরে বিশেষ ক্ষতি হয়নি। তবে থানার বাইরে রাখা পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িগুলি। ভেঙে গিয়েছে গাড়িগুলির সব কাচ। ক্ষতি হয়েছে থানা লাগোয়া আশপাশের বাড়িগুলিরও। জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষতি হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানেরও। যদিও হতাহতের কোনও খবর এখনও পর্যন্ত মেলেনি। থানার ভিতরেও কয়েকজন পুলিশকর্মী ছিলেন। আহত হননি তাঁরা। তবে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ঘরবাড়ি। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা।
[ডিস্কোয় তরুণী নিয়ে বচসার পরই পার্ক সার্কাসে গুলিকাণ্ড]
তবে পুলিশের অনুমান, শুধু বোমা নয়। থানা লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। খবর দেওয়া হয়েছে সিআইডি ও বম স্কোয়াডকে। তদন্তের স্বার্থে নিয়ে আসা হচ্ছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও। বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে কালিম্পং থানার বিস্ফোরণের কায়দায়। পুলিশের অনুমান, একই গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে প্রতিটি বিস্ফোরণে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলেও, দায় স্বীকার করেনি তারা।
[বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে মৌলবাদীদের রোষে এনসিসি ক্যাডেট]
এর আগে, দার্জিলিংয়ের সুপার মার্কেট ও কালিম্পংয়ে থানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কালিম্পং থানা লক্ষ করে ছোড়া হয় গ্রেনেড। এছাড়া বিস্ফোরণ হয় কালিম্পং থানা লাগোয়া মেলা গ্রাউন্ডে। নিহত হন রাকেশ রাউত নামে এক সিভিক পুলিশকর্মী। আহত হন ছেন্দুপ ভুটিয়া নামে এক হোমগার্ড এবং এসএসবির এক জওয়ান। দার্জিলিংয়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
[ফের বিস্ফোরণ বীরভূমে, উড়ল বাড়ির ছাদ]
কী উদ্দেশ্যে এমন নাশকতা? কারা জড়িত? স্পষ্ট নয়৷ প্রশাসনের কোনও মহলের মতে, এতে নেপালের মাওবাদী কিংবা অন্য বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে৷ কারও সন্দেহ, এ আদতে মোর্চার অন্তর্দ্বন্দ্বের জের৷ পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে, পাহাড়ের আরও কোথাও এ জাতীয় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে কি না। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মাওবাদীরা মূলত তারের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটায়। এক্ষেত্রে কী ব্যবহার হয়েছে? তার, না টাইমার, নাকি রিমোট কন্ট্রোল? খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত আগামি ২৯ আগস্ট পাহাড়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এই বিস্ফোরণে বৈঠকের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.