ফাইল ছবি
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ইস্তফা দিলেন বিজেপির নন্দীগ্রাম মণ্ডল-৪ সভাপতি চন্দ্রকান্ত মণ্ডল। শনিবার দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতির উদ্দেশ্যে লেখা সেই ইস্তফাপত্র তিনি ইমেল করে পাঠিয়েও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানাতে ইমেল করেছেন। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের পর নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে ফের বিজেপির ঘর ভাঙল। যা দেখে আলোড়ন পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কয়েক মাস আগে নন্দীগ্রাম-৪ মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত মণ্ডল। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলকে চাঙ্গা করার কাজ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু দলের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দলের অন্দরেই সরব হন মাস দুয়েক আগে। তখন থেকেই বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল কমিটি এবং জেলা কমিটির মধ্যে বিষয়টি চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে।
চন্দ্রকান্তের দায়িত্বে থাকা নন্দীগ্রাম -৪ মণ্ডল ভেঙে দু’টি মণ্ডল করার প্রস্তাব পাঠানো হয় দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে। বলা হয়, ওই মণ্ডলের অধীনে থাকে বয়াল-১ এবং ২ অঞ্চল নিয়ে গঠিত মণ্ডলের দায়িত্বে থাকছেন চন্দ্রকান্ত মণ্ডল এবং খোদামবাড়ি -১ এবং ২ অঞ্চল নিয়ে গঠিত মণ্ডলের দায়িত্ব নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন দীপঙ্কর গায়েন। এক সময় যে চন্দ্রকান্ত ৫৫টি বুথের সাংগঠনিক কাজের অভিভাবক ছিলেন, তাঁর ক্ষমতা সঙ্কুচিত করে তাঁকে ২৬টি বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দীপঙ্করের দায়িত্বে রয়েছে ২৯টি বুথ। যা দেখে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ চন্দ্রকান্ত মণ্ডল। পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”সাংগঠনিক কাজের সুবিধার জন্য একটি মণ্ডলকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু না।” আর এই বিভাজনে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চন্দ্রকান্ত। এই ঘটনার পিছনে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন।
চন্দ্রকান্তের কথায়, “নন্দীগ্রাম-৪ মণ্ডলকে ভাগ করার পিছনে শুভেন্দু অধিকারী দায়ী। উনি ওঁর অনুগামীদের পদে বসাবার জন্য এই কাজ করেছেন। এবিষয়ে আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। এটা মানতে পারছি না।” প্রতিবাদে রবিবার স্থানীয় রেয়াপাড়ায় মণ্ডল -৪ অফিসের সামনে অনুগামী কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন চন্দ্রকান্ত। তবে এখনই দল ছাড়ছেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলে তাঁর যোগ দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লক সভাপতি অরুণাভ ভুঁইয়া জানান,”চন্দ্রকান্ত মণ্ডল-সহ বিজেপির বহু নেতা কর্মী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর দাদাগিরি মানতে নারাজ। তবে বিষয়টি তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে । দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করেই হবে যা কিছু কাজ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.