Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাষ্ট্রসংঘ

ফের বিশ্ব দরবারে সেরা রাজ্যের প্রকল্প, রাষ্ট্রসংঘে পুরস্কৃত ‘উৎকর্ষ বাংলা’, ‘সবুজ সাথী’

টুইটারে নিজেই সুখবর প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Another 2 projects of State Govt have been awarded at UN
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 11, 2019 5:07 pm
  • Updated:June 22, 2022 2:19 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিশ্ব দরবারে সমাদৃত রাজ্য সরকারের একের পর এক প্রকল্প৷‘কন্যাশ্রী’র পর ‘উৎকর্ষ বাংলা’ এবং ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের মাথায় যে নতুন শিরোপা উঠতে চলেছে, তার আগাম ইঙ্গিত ছিলই৷ বৃহস্পতিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সুখবর দিলেন৷ জানালেন, রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি বিভাগে পুরস্কার জিতল৷

৮ বিভাগের মোট ১০৬২টি মনোনয়নের মধ্যে থেকে সেরার তকমা পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাপ্রসূত দু’টি প্রকল্প ‘উৎকর্ষ বাংলা’ এবং ‘সবুজ সাথী’৷ প্রথমটি রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য, আর দ্বিতীয়টি রাজ্যজুড়ে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে সাইকেল প্রদান৷ প্রকল্প দু’টি চালু হওয়ার পরই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে৷ সুবিধা পেয়েছেন বহু মানুষ৷ ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটিতে ‘চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্ট’ হিসেবে পুরস্কৃত ‘উৎকর্ষ বাংলা’ এবং ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ বিভাগে সর্বসেরা হয়েছে ‘সবুজ সাথী’৷ ৯ তারিখ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ

Advertisement

                                            [ আরও পড়ুন: প্রথম দফার ভোটে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপির]

টুইটারে এনিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ আনন্দ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, এই সাফল্যের নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন৷ ‘উৎকর্ষ বাংলা’য় অন্তত ৬ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং ‘সবুজ সাথী’র সাইকেল পেয়েছেন অন্তত ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী৷ ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্প কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। রাজ্যের উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী নিখরচায় দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ও পাচ্ছেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারিগরি প্রশিক্ষণ দপ্তরের সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে। উদ্ভাবনীর দিক থেকে নতুন নতুন কোর্সও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

                                       [ আরও পড়ুন: ‘২৬ মে মমতা সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বাজবে’, রাজ্যকে বেনজির আক্রমণ অমিতের]

২০১৮ সালের ২ জুলাই থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘ আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটিতে মনোনয়ন পেশ করার সময় ছিল৷ সূত্রের খবর, গতবারের তুলনায় ২১৬ শতাংশ মনোনয়ন বেশি জমা পড়েছিল। মোট ১১৪০ মনোনয়ন জমা পড়লেও প্রাথমিক বাছাইয়ে স্থান পায় ১০৬২টি। পাঁচটি দফায় এরপর চূড়ান্ত নির্ধারণ হয়। এর আগে ২০১৭-এ ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের জনপ্রশাসন বিভাগে সেরার সম্মান ছিনিয়ে এনেছিল। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছিল। এবার দেশজুড়ে নির্বাচনের আবহ৷ তাই বিশ্বসেরার পুরস্কার নিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷ তাতে অবশ্য তেমন কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর৷ রাজ্যের প্রকল্প এভাবে বিশ্বমহলে স্বীকৃতি পাচ্ছে, তাতেই অত্যন্ত আনন্দিত তিনি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement