Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anit Thapa

অনীত থাপার দলের দখলে দার্জিলিং পুরসভা, আস্থা ভোটে ‘হার’ হামরো পার্টির

বিজিপিএমকে সমর্থন জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।

Anit Thapa BGPM set to get the control of Darjeeling Municipality | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 28, 2022 1:04 pm
  • Updated:December 28, 2022 3:41 pm  

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: দার্জিলিং পুরসভা হাতছাড়া হামরো পার্টির। বুধবার আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যে হওয়া আস্থা ভোটে দার্জিলিং পুরসভার দখল নিল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম)। পুরসভার ৩২টা আসনের মধ্যে ভোটাভুটির পর অনীত থাপার বিজিপিএমের দখলে মোট ১৬টি আসন।

দার্জিলিং পুরসভায় মোট ৩২টি আসন। যেখানে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি (Hamro Party) পেয়েছিল ১৮টি আসন। বিজিপিএমের (BGPM) ছিল ৯টি, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৩টি ও তৃণমূলের ২টি আসন ছিল। অনীক থাপার দল বিজিপিএম থেকে এক কাউন্সিলর ইস্তফা দেন। আবার হামরো পার্টি থেকে ৬ কাউন্সিলর যোগ দেন বিজিপিএমে। আবার তৃণমূলের তরফেও সমর্থন জানানো হয় বিজিপিএমকে। এই সমীকরণের উপর ভর করেই মোট ১৬টি আসন নিয়ে বোর্ড গঠন করল বিজিপিএম। শোনা যাচ্ছে, এদিনের আস্থা ভোটে যোগ দেননি হামরো পার্টির বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। এই ভোটাভুটিকে অবৈধ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতের উদ্বোধনে মোদি-মমতা, ৩৬ ঘণ্টা আগেই বন্ধ হাওড়ার তিন প্ল্যাটফর্ম]

দার্জিলিংয়ের সার্বিক উন্নতির স্বার্থেই তৃণমূল বিজিপিএমকে সমর্থন করেছেন বলে জানান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তাঁর কথায়, একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে পুরসভার দখল নিয়েছিল হামরো পার্টি। কিন্তু এতদিন তারা কোনও কাজ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই দার্জিলিং তথা পাহাড়ের উন্নয়নে উদ্যোগী। আর সেই কারণেই বিজিপিএমকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আস্থা ভোটের আগের দিনই, মঙ্গলবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ডকে। এডওয়ার্ড দাবি করেছিলেন অনৈতিক ভাবে পুরবোর্ড দখলের চেষ্টায় অনীত থাপারা। যার জন্য বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মেলানো পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি দল নিরপেক্ষ না থাকলে তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন বিনয় তামাং।

এদিনের আস্থা ভোট ঘিরে দার্জিলিংয়ে অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সকাল থেকেই থমথমে ছিল পরিস্থিতি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় শহরকে। দার্জিলিং জুড়ে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাখা হয়েছিল কমব্যাট ফোর্স, স্ট্যাকো ফোর্সও। 

[আরও পড়ুন: ‘RSS সম্পর্কে তোমার জ্ঞান দেখে দারুণ লাগছে’, স্ত্রীকে সমর্থন করে কটাক্ষের শিকার জাদেজা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement