পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ।
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: আনিস হত্যাকাণ্ডে উত্তাল হাওড়ার আমতা (Amta)। ঘটনাস্থল ঘিরতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। অধিকারিকদের ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভে শামিল উত্তেজিত জনতা। এদিকে ছেলের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আরজি আনিসের বাবার।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া আনিস খানের মৃত্যুকে (Anis Khan Death) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলা। ঘটনার নেপথ্যে কে? সত্যিই কি পুলিশই জড়িত ঘটনায়? নাকি পুলিশের বেশে দুষ্কৃতীরাই শুক্রবার রাতে হাজির হয়েছিল আনিসের বাড়িতে? উত্তর এখনও অজানা। ফলে আনিসের পরিবার ও এলাকায় উত্তেজনা ছিলই। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে পুলিশ সেখানে যেতেই আগুনে ঘি পড়ে। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। প্রশ্ন ওঠে, ঘটনার পর প্রায় দেড়দিন পেরিয়ে গেলেও কেন ঘেরা হল না ঘটনাস্থল? দেহ উদ্ধারের পর কেন পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে গেলেন না? কোনও প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অন্য কাজে তাঁরা ব্যস্ত থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এতেই আরও বাড়ে ক্ষোভ। শেষমেশ তাঁদের এলাকা থেকে ফিরতে বাধ্য করে জনতা।
স্থানীয়দের কথায়, শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হলেও তাঁরা সেদিন ঘটনাস্থলে যায়নি। পরেরদিন অর্থাৎ শনিবার সকাল ৮ টা নাগাদ দেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। তারপর আর দেখা মেলেনি পুলিশের। এরকম একটা স্পর্শকাতর ঘটনার পর দেড়দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল ঘিরে দেওয়া হয়নি। ফলে প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও ঘটনাস্থলে যায়নি ফরেনসিকও। সব মিলিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে স্থানীয়দের।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন আনিসের বাবা। তাঁর কথায়, “যে পুলিশ ছেলেকে খুন করেছে, তাঁরা কখনই সুবিচার দেবে না।” পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টকে পুলিশ প্রভাবিত করতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লেগেছে। বিজেপির দিকে অভিযোগের তীর। তবে গোটাটাই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। পুলিশের এই কাজ নিন্দনীয়। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.