Advertisement
Advertisement

ছাগ রক্তেই ‘তুষ্ট’ হন সোনামুখির শতাব্দীপ্রাচীন পায়রা কালী

পুজো ঘিরে এখন থেকেই উৎসবের মেজাজ।

Animal sacrifice must to ‘appease’ goddess Kali at Bankura
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 17, 2017 1:44 pm
  • Updated:October 17, 2017 1:44 pm  

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আগে এই পুজোয় পায়রা বলি হত। যদিও সেই চল এখন উঠে গিয়েছে। তবে থেকে গিয়েছে নামটা। সোনামুখির ধর্মতলা সংলগ্ন গড়গড়িয়ায় শতাব্দীপ্রাচীন কালীর পুজো আজও ‘পায়রা কালী’ নমেই খ্যাত। এখন তরতাজা ছাগলের রক্তে তুষ্ট হন দেবী। সোনামুখির পায়রা কালী দেখতে আসেন হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের হাজার হাজার ভক্ত। প্রচুর বিক্রি-বাটার আশায় এই পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন এলাকার শখানেক ব্যাবসায়ীও। কার্তিক অমাবস্যায় ভিড়, আলো, মেলা, বিকিকিনিতে মুখর হয়ে ওঠে সোনামুখির ধর্মতলা চত্বর।

[দেবী পালাতে পারেন, এই আশঙ্কায় ভক্তদের ‘নজরবন্দি’তে মা কালী]

Advertisement

কালীপুজোর জন্য সোনামুখির নামডাক রয়েছে জেলার বাইরেও। এলাকার বিভিন্ন ক্লাব বারোয়ারি পুজোর আয়োজন করে। জাঁকজমকে একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতাও চলে রীতিমতো। সর্বজনীন পুজোর পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন পুজো। প্রবীণ থেকে নবীনদের হাতে ব্যাটন চলে আসার পর তারাও উত্তরাধিকার বয়ে নিয়ে চলেছেন। প্রাচীন ধারা বজায় রেখে সূত্রধর পরিবারের সদস্যরাই এখনও পায়রা কালীর মূর্তি গড়েন। বর্তমান প্রতিমা শিল্পীর কথায়, নিরাবরণ মায়ের উচ্চতা হয় হাতে মেপে ৬ ফুট। বছরভর মূর্তিতে পুজো না হলেও, কালীপুজোর সময় মূর্তি গড়ে পুজোর চল বহুদিনের। পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম তপন কুমার দত্ত বলেন, ”আমরা জানি পায়রা শান্তির প্রতীক। কিন্তু এই কালীপুজোয় পায়রা বলি দেওয়া হত বহু আগে। কিন্তু কেন পায়রা বলি দেওয়া হত ? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।”

[মুসলিম বধূর হাতেই দেবীর আরাধনা, সম্প্রীতির কালীপুজো হবিবপুরে]

পুজোর সংকল্প করা হয় রীতি মেনে। কালীপুজোর দিন মাটির প্রতিমা গড়ে তাতে কালো রং করা হয়। দিন গড়িয়ে আঁধার নামলে, সন্ধ্যাতারারা জ্বলে উঠলে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে আঁকা হয় দেবীর চোখ। প্রথমে ষোড়শ উপাচারে মায়ের পুজো হয়।তারপর মধ্যরাত্রে হয় পাঁঠাবলি। স্থানীয়দের বিশ্বাস ছাগলের রক্তেই নাকি শান্তি পান দেবী। জাগ্রত এই কালীপুজোর জন্য এখন প্রস্তুতি জোরকদমে। সোনামুখির ধর্মতলায় যারা থাকেন, তাদের বাড়িতে ইতিমধ্যেই আত্মীয়রা আসতে শুরু করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement