সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে আইনকে হাতে তুলে নিলেন এলাকাবাসী৷ খুনের অপরাধীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে আগুন লাগিয়ে দিলেন তাঁরা৷ গণপিটুনিতে মৃত্যু হল রবি মাহালি নামে এক অভিযুক্তের৷ বুধবার বিকালে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালবাজার থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সোনগাছি চা-বাগানের বাটাইগোল শ্রমিক বসতি। ঘটনার পর থেকেই থমথমে রয়েছে এলাকার পরিবেশ৷ সমগ্র এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী৷
[সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে শিলিগুড়িতে হাজির চার বাংলাদেশি যুবক!]
এই ঘটনার সূত্রপাত হয়, গত সোমবারের একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে৷ ওইদিন বাটাইগোল এলাকা থেকে জুয়া খেলে ফেরার পথে আক্রান্ত হন রোহিত নাগাসিয়া নামের এক যুবক। অভিযোগ, হঠাৎই তাঁর উপর চড়াও হয় একদল আততায়ী৷ মারধর করে তাঁর কাছ থেকে লুট করে নেওয়া হয় টাকা। মঙ্গলবার, নাগাসিয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ প্রশাসনের কাছে মৃতের দাদা দাবি করেন যে, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে এবং সমগ্র চা-বাগান চত্বরে জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে হবে৷ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটকও করে মাল-মেটেলি থানার পুলিশ।
[দেগঙ্গার পচা মাংসের কারবারের সাপ্লাই লাইন কি উলুবেড়িয়ার গরুর হাট?]
কিন্তু, বুধবার ঘটনায় ঘৃতাহুতি দেয় একটি গুজব৷ এলাকায় ছড়িয়ে যায় যে, ধৃতদের মুক্তি দিয়েছে পুলিশ৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোনগাছি চা-বাগানে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা৷ ক্ষিপ্ত জনতা চড়াও হয় অভিযুক্ত রবি মাহালির বাড়িতে৷ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তিনটি বাড়িতে। উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় রবি মাহালির। এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাল-মেটেলি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী৷ আসে দমকল৷ প্রশাসনের তৎপরতায় কোনওক্রমে সামাল দেওয়া যায় পরিস্থিতি৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের নাম রোশন মাহালি ও তন্দু মাহালি৷ সূত্রের খবর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও থমথমে রয়েছে এলাকার পরিস্থিতি৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনেই এলাকায় বেড়ে চলেছে জুয়ার ঠেক৷ জুয়ারিদের বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে তাঁদের৷ কিন্তু কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই পুলিশের৷ ফলে একপ্রকার প্রশাসনের কাজে হতাশ হয়েই বুধবার চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.