শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: খাবারের বকেয়া বিল হিসেবে ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০৫ টাকা মেটানো হয়নি। এই অভিযোগে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বিডিও অফিস চত্বরে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন এক ব্যবসায়ী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন ওই ব্যবসায়ী। তা থেকেই জানা যায়, ব্যবসায়ীর নাম গৌতম দাস। ওই বিডিও অফিসেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে খাবার জোগান দিচ্ছেন। গৌতমবাবুর অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি যে খাবার দিয়েছেন তার মূল্য বাবদ ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০৫ টাকা এখনও পর্যন্ত মেটানো হয়নি। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। তাই তিনি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
চিঠিতে গৌতমবাবু এই সমস্ত কিছুর জন্য বিডিওকে দায়ী করেছেন। আর দাবি জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর এক মাসের মধ্যে যেন উক্ত টাকা সুদ সমেত তাঁর স্ত্রী স্বপ্না দাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যু গৌতমবাবুর হয়নি। ঘটনার পরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানেই ব্যবসায়ীর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ নন্দীর বক্তব্য, গৌতমবাবু বিল ক্লেম করেছিলেন। কিন্তু কোনও সাপ্লাই অর্ডার বা রিসিপ্ট কপি দেখাতে পারেননি। পাশাপাশি এও জানান, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে ছিলেন না। ফলে তাঁর পক্ষে বিষয়টি জানা সম্ভব নয়। এর আগে যিনি বা যাঁরা চার্জ হ্যান্ডওভার করে গিয়েছেন তাঁরাও এ বিষয়ে কিছু জানিয়ে যাননি।
বিষয়টি গৌতমবাবুকেও একাধিকবার জানানো হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত গৌতমবাবুর যাবতীয় বিল মেটানো আছে বলেই জানান বিডিও। ডিসেম্বরের বিল সাবমিট করা হয়নি। তাই সেই টাকা বকেয়া। গৌতমবাবুর আত্মহত্যার চেষ্টা প্রসঙ্গে শুভ্র নন্দী বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, আমি চাই উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.