ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পাচ্ছেন না পেনশন। ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন পেনশন প্রাপকরা। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখলেন পেনশন প্রাপকরা। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাই তাঁকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা।
বর্তমানে প্রায় ৫০০ কর্মী, ৬০০ অধ্যাপক, ২০০ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ৩০০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati University)। পাশাপাশি অন্তত ১৮০০ জন পেনশন পান। প্রত্যেককে প্রতি মাসে বেতন ও পেনশন দিতে বিশ্বভারতীর খরচ হয় প্রায় ২৪ কোটি টাকা। পেনশন প্রাপকদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পেনশন দিচ্ছে না। গত জুন থেকে পেনশন পাচ্ছেন না তাঁরা। যাঁরা বেশি পরিমাণ পেনশন পান তাঁরা কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছেন। তবে যাঁরা কম পেনশন পান। তাঁরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের পক্ষে ওই টাকায় সংসার চালানো কার্যত দায় হয়ে যাচ্ছে। সারাজীবন চাকরির পর বৃদ্ধ বয়সে পেনশনের টাকাটুকুও না মেলায় কার্যত বিপর্যস্ত পেনশন প্রাপকরা। কী কারণে পেনশন দেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। পেনশন প্রাপকদের আরও অভিযোগ, করোনার সময় বিশ্বভারতীর পিয়ারসন হাসপাতাল থেকে পেনশন প্রাপকদের কোনরকম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। টাকা দিতে চাইলেও তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তাঁদের।
সমস্যার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর পেনশন প্রাপকরা। এর আগে বেতন দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind), রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছে শিক্ষক সংগঠন। সূত্রের খবর, কেন বেতন কিংবা পেনশন দিতে দেরি হচ্ছে, সেই কারণ জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। যদিও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছুই জবাব দেয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.