রাজা দাস, বালুরঘাট: পুকুর সংস্কার করার সময় মাটির নিচ থেকে উঠে এল পাথরের প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওল এলাকায়। এই খবর ছড়াতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে মূর্তিটি দখল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি (Statue) উদ্ধার করে নিয়ে যায় কুমারগঞ্জ থানায়। মূর্তিটি কতদিনের পুরনো, তার ঐতিহাসিক গুরুত্বই বা কতটা – সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তা কষ্টি পাথরের।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক মোল্লার মালিকানাধীন একটি বড় মাপের পুকুর সংস্কার চলছিল ক’দিন ধরে। শনিবার শ্রমিকরা মাটি খননের সময় পাথরের (Stone) প্রাচীন মূর্তিটি উদ্ধার করে। সেটি বিষ্ণুমূর্তি বলে মনে করেন এলাকার বাসিন্দারা। মূর্তির উচ্চতা ৫ ফুট ও চওড়ায় তা ৩ ফুট। তবে উদ্ধারের পর সেই মূর্তি পরিষ্কার করে গ্রামেই নিজেদের তত্ত্বাবধানে রাখার পরিকল্পনা করেন গ্রামবাসীরা। কিন্ত সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে রাতেই দেওল গ্রামে যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মূর্তি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মূর্তিটি কালো হওয়ায় তা কষ্টিপাথরের কি না, জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে ওই পুকুরে এই ধরনের আরও কিছু মূর্তির হদিশ মেলে কি না, সেদিকে নজর রয়েছে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের। কুমারগঞ্জ থানার আইসি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”খবর পেয়ে গ্রাম থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাচীন এই মূর্তিটি বিষ্ণু মূর্তি বলেই আমাদের প্রাথমিক অনুমান। মূর্তি সংরক্ষণের বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রুনা লাইলা বেগম বলেন, ”মূর্তিটি সঠিক জায়গায় রাখতে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা তা মেনে নিয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, এ ধরনের মূর্তি উদ্ধার হলে তা প্রাথমিকভাবে পুলিশের হেফাজতেই থাকে। এরপর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) কাছে খবর পাঠিয়ে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণ করা হয়। সমজিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া বিষ্ণুমূর্তিটি কোন আমলের, তা জানতে আগ্রহী এলাকার ইতিহাস সচেতন মানুষজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.