সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সংশোধানাগারে মিলল এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা সংশোধানাগারে। আতঙ্কিত অন্য বন্দি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায়।
মৃতের নাম গোপাল সর্দার। বাড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির নারায়ণপুরে। অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেয় গোপাল। ঘটনার পর প্রায় বছর দুয়েক বেপাত্তা ছিল সে। শেষপর্যন্ত গত বছর জুলাই মাসে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মাটি খুঁড়ে গোপালের স্ত্রী’র হাড়গোড় ও কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। গোপালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা। অগাস্ট মাসে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে মামলা চলছে। বিচারাধীন বন্দি গোপাল সর্দারকে রাখা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার মহকুমা সংশোধানাগারের একটি সেলে।
জানা গিয়েছে, রোজকার মতো শুক্রবার সকালে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা সংশোধানাগারে যখন বন্দিদের সংখ্যা মিলিয়ে নিচ্ছিলেন কর্মীরা, তখনই গোপাল সর্দারের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় জেলের চিকিৎসককে। তিনিই ওই বন্দিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশোধানাগারে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ আধিকারিকরা। নিয়মমাফিক মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত কয়েক দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল গোপাল সর্দার। অবসাদেই আত্মহত্যা করেছে সে। এদিকে বন্দিমৃত্যুর তদন্তে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা সংশোধানাগারে গিয়েছিলেন মহকুমা শাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায়। বিভাগীয় তদন্তে জেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি প্রমাণিত হলে, দোষীদের কড়া শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.