ছবি: প্রতীকী
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিক। বারাকপুরের লাটবাগানের পুলিশ হেড কোয়ার্টারের আবাসনেই থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই আত্মহত্যা করেন ওই আধিকারিক। তবে কী কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বছর তেতাল্লিশের বিশ্বজিৎ দত্ত রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিক। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করতেন। বর্ধমানের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বারাকপুরের লাটবাগানের পুলিশ হেড কোয়ার্টারের আবাসনেই থাকতেন। আপনজন বলতে স্ত্রী এবং সন্তান ছাড়া কেউই ছিল না তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান গিয়েছিল বাপেরবাড়ি। সেই সময় কোয়ার্টারে একাই ছিলেন আধিকারিক বিশ্বজিৎ দত্ত। আচমকাই তাঁর কোয়ার্টারের ভিতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। দৌড়ে আসেন অন্যান্যরা। সকলেই দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েছেন তিনি। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। দেহ থেকে কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে রয়েছে বন্দুকটি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বারাকপুর বি এন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান ওই আধিকারিককে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। তিনি মারা গিয়েছেন।
গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিক কেন আচমকা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন তা বুঝতে পারছেন না কেউই। আধিকারিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে তাঁর স্ত্রীকে। পারিবারিক কোনও অশান্তি থেকে বিশ্বজিৎ দত্ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কী না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এখনও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.