অরূপ বসাক, মালবাজার: লকডাউন চলছে। নিয়ম অনুযায়ী, একসঙ্গে জমায়েত করা নিষেধ। কিন্তু সাতসকালে গজরাজের তাণ্ডবে ভেঙে গেল সেই নিষেধাজ্ঞা। উত্তরবঙ্গে মালবাজার মহকুমার কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুচাপুর বসতি এলাকায় ভিড় জমালেন বাসিন্দারা।
মালবাজার বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে তারঘেরা জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল ঢুকে পড়ে কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুচাপুর এলাকায়। রাতভর সেখানে তাণ্ডব চালিয়ে একটি বাড়ি ভাঙে। এরপর দিকভ্রান্ত হয়ে গোটা এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। আর তাকে দেখতেই ভোরবেলা হাজার হাজার বাসিন্দা বেরিয়ে আসেন নিজেদের ঘর থেকে। একসঙ্গে সকলে মিলে হাতি দেখার ভিড় জমে গ্রামে। কারও মুখে মাস্ক নেই। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিটুকুও গ্রামবাসীরা মানছেন না বলে অভিযোগ বনদপ্তরের। ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হল বনদপ্তরের কর্তাদের।
অভিযোগ, বনকর্মীরা গ্রামের মানুষজনকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও, কোনও কথাই শুনছে না তাঁরা। হাতির পিছনে সকলে মিলে ছুটছেন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটি এলাকায় ঢুকে নেশার কিছু খেয়ে ফেলেছে। আর এরপর থেকেই দিকভ্রান্ত হয়ে গ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু বুধবার ভোরে হাতি দেখতে গিয়ে সেই লকডাউন ভেঙে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বনকর্মীরা যেমন গ্রামবাসীদের ধরে ফেরাতে পারেননি, তেমনই হাতিটিকেও জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টাও এঁদের ভিড়ের জন্যই ব্যর্থ হচ্ছে, এমনই অভিযোগ বন আধিকারিকদের।
মালবাজার বন দপ্তরের রেঞ্জার বিভূতিভূষন দাস বলেন, “হাতিটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, সে কোনওভাবেই জঙ্গলে ফিরতে পারছে না। আর এতে মানুষের ভিড় বাড়ছে।” একই বক্তব্য মালবাজার পুলিশের ওসি শুভাশিস চক্রবর্তীরও। তিনিও বলছেন, “কোনওভাবেই মানুষ কথা শুনছে না। আমরা চেষ্টা করছি, মানুষকে ঘরে ফেরাতে।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.